Today Kolkata:- ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্য সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নবান্নের (Nabanna) সভাঘরে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) ঘরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট আলাদা করে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister)।
পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Union Home Minister) উপস্থিতিতে উঠে এসেছে ডিভিসির জলাধারের পলি প্রসঙ্গ। বর্ষাকালীন মরশুমে বরাবরই ভেসে যায় পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। আবার শুখা মরশুমে পাওয়া যায় না পরিমাণ অনুযায়ী জল। তাই নিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটারি কমিশন এই জল ছাড়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে দিয়ে সমীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিসিকে (DVC)। যদিও এর কার্যকরিতা নিয়েই সন্দিহান ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে পাওয়া মাত্রই তা কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশনের মতামত চাওয়া হবে। তাদের এ নিয়ে সমীক্ষার প্রস্তাবও দেওয়া হবে। এমনটাই জানা গেছে ডিভিসি (DVC) সূত্রে।
মিটবে পলি সমস্যা ? মমতার সাথে শাহী বৈঠকের পর তৎপরতা।
দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি , গরুপাচার মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ধাক্কা অনুব্রতর।
ডিভিসির মতে , জলাধারকে পলির হাত থেকে রক্ষা করার একটাই উপায় – নিয়মিত ওয়াটার শেড ট্রিটমেন্ট করানো। যাতে নদীর জল জলাধারে প্রবেশের সময় পলি কম আসে। এটাও ব্যায়বহুল। তাতে জলাধারের অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব। তবে সমীক্ষার খরচ কে দেবে , কেন্দ্রীয় সরকার Central Government) শুধু নয় , রাজ্যগুলিকেও একটা অংশ বহন করতে হবে। কমিশনের মতামত ও সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে তখনই সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে।
গত শতাব্দীর (Century) ষাটের দশকের গোড়ায় তৈরি হওয়া ডিভিসির (DVC) চার জলাধার মাইথন , পাঞ্চেত , তিলাইয়া , কোনারের প্রায় সবগুলিরই পলিতে জল ধারণের ক্ষমতা কমেছে। ‘ডেড স্টোরেজ’ ৫০ শতাংশ পলিতে ভরে গিয়েছে। তবে সারা দেশের কোনও জলাধারের পলি তোলার নজির নেই। উল্লেখ্য , ডিভিসির (DVC) চার জলাধারের লাগোয়া নদীতে কিছুটা করা হয়। যা যথেষ্ট নয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের ডিভিসি অনেকটাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় , ঝাড়খণ্ড সরকারের (Jharkhand Government) একক সিদ্ধান্তে তেনুঘাট জলাধারের জল ছাড়া যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (West Bengal Government) সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে করতে হবে। বিনিময় ম্যাসাঞ্জোর জলাধারের নিয়ন্ত্রণও শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার একা নয় , ঝাড়খণ্ড সরকার সঙ্গী হবে।