Today Kolkata:- ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌর এলাকায় (Paschim Medinipur Kharar), খড়ার সাঁতরা পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রথমদিকে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ছিল অনেক, কিন্তু কয়েক বছর ধরে আস্তে আস্তে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। ৩ জন পড়ুয়া ও ২ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে স্কুলের পঠন-পাঠন সাথে রয়েছে মিড ডে মিলের খাবার ব্যবস্থা। বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা কমার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে দায়ী করছে এলাকার মানুষ। বুধবার স্কুল চত্বরে এসে অন্য ছবি দেখা গেল, দেখলাম একজন ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কে? স্কুলে কি করতে এসেছেন, সোজা কথা উত্তর আমরা সাংবাদিক স্কুলের ছাত্র সংখ্যা কম তাই খবর করতে এসেছি।
তারপরেই দেখা গেল ওই ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কি স্কুলের শিক্ষক? প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না আমি প্রধান শিক্ষিকার স্বামী তপোজয় মণ্ডল, তারপরে স্কুলের গেট খুলতেই উনি পথ নির্দেশিকা দেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কোথায় কোথায় ছবি করতে হবে। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গাইডলাইনে বেধে দেন উনি, ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শুরু করে স্কুলের পাশে আসা অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে গেলেও উনি বাধার সৃষ্টি করেন, এমনকি অপর জন শিক্ষককে উনি ফোন করে ডাকেন স্কুলে আসার জন্য। দীর্ঘক্ষণ ওনার দাদাগিরি চলার পর সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ক্যামেরায় উনাকে প্রশ্ন করতেই উনি ক্যামেরার সামনে কয়েকটি কথা বলেই দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তারপরেও প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করা হলে উনি কারো নাম না করে বলেন যে এই স্কুলে উনি আশা থেকেই সমস্যা হচ্ছে, স্কুলের ছাত্রদের ভাঙিয়ে অন্যত্রে নিয়ে চলে যাচ্ছে কোন ব্যাক্তি।
Paschim Medinipur Kharar স্কুল বিল্ডিং রয়েছে, রয়েছে পরিকাঠামো, নেই পড়ুয়া।
Sayani Ghosh “গণতন্ত্র এ সবার যেমন বাক স্বাধীনতা আছে” একথা জানান যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।
এই ঘটনার পরও আমরা যখন অবর বিদ্যালয়ে পরিদর্শক তথা এসআই বহ্নিশিখা দের সাথে যোগাযোগ করি উনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়নি। স্কুলের ছাত্র সংখ্যা নিয়ে পরিচালন কমিটির সভাপতি পূর্বা ভূঁইয়া রাত অসুস্থতার কথা জানিয়ে বলেন, তিনি অসুস্থ তাই এই নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না। আজ যে কজন পড়ুয়া এসেছিল তাদের কেউ কেউ আবার অন্য স্কুলেও পাঠরত বলে এক পড়ুয়া কামেরারা সামনে বলে।