Today Kolkata:- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় এবার কড়া অবস্থান নিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যায় বিবৃতি জারি করল রাজভবন। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করা হয়েছে। বিবৃতিতে রাজ্যপাল এ-ও দাবি করেছেন, “বহু মহল থেকেই তাঁর কাছে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি এসেছে।”
রাজভবন (Raj Bhavan) সূত্রে খবর, এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই নবান্নের শীর্ষ মহলের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রাজ্যের তরফে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করা হবে, সেই বিষয়ে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁর মতো করে অভ্যন্তরীণ তদন্তও চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “এই রকম সংস্কৃতি পূর্ণ রাজ্যে কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা ভেবে আমি খুব আশ্চর্য হয়েছি। বিভিন্ন দিক থেকে আমার কাছে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবিও এসেছে। আর যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal) নিশ্চই সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করবে।”
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার ঘটনা যে, মোটেই রাজ্যপাল ভাল চোখে নিচ্ছেন না, তা রাজভবনের বিবৃতিতে একপ্রকার স্পষ্ট। শনিবারই বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে উপরে হামলার ঘটনা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুধু তাই নয়, এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির তরফেও পাল্টা চাপ তৈরি করা হয় শাসকদলের উপরে।
Raj Bhaban নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলা, হামলাকারীদের বিষয় কি পদক্ষেপ? নবান্নকে রিপোর্ট তলব রাজভবনের।
গত শনিবার বিকেল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের (Coochbihar)দিনহাটা মহকুমা। দিনহাটার বুড়িরহাটে নিজের সংসদীয় এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে বেরিয়ে আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের (Nishith Pramanik) কনভয়। হামলার পরেই এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে (Trinamool Congress) নিশানা করে বিজেপি। রাতে সাহেবগঞ্জ, বামনহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির (BJP) পার্টি অফিস ও নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকে থমথমে সাহেবগঞ্জ। গতকালের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।