Today Kolkata:- Sudip Bandhyapadhya vs Tapas Roy সম্প্রতি একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে রাজ্যের শাসকদলের। এরই মধ্যে দলের ভেতর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও চরমে উঠেছে। ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের দুই বর্ষীয়ান নেতা তাপস রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি পরস্পরকে তাঁদের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের কারণে সরগরম বাংলার রাজনীতি। যার ঝাঁঝ উত্তরোত্তর বাড়ছে৷ দলেরই প্রবীণ বিধায়ক এবং সাংসদের কাঁদা ছোড়াছুড়িতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। বেশ কয়েকদিন ধরে সুদীপ বনাম তাপস দ্বন্দ্ব ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। দুপুরে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তাপস রায়৷ তবে সুদীপও ছাড়ার পাত্র নয়। তাই সন্ধে গড়াতেই পাল্টা একহাত নিলেন তিনি৷ বিজেপি-র উত্তর কলকাতার নবনিযুক্ত সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের পরিবারের সঙ্গে সুদীপের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে প্রথমে সরব হন তাপস৷
তাঁর অভিযোগ, তমোঘ্ন ঘোষের বাড়ির দুর্গা পুজোয় একই সঙ্গে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী৷ এর জবাবে সুদীপ ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার৷’ শুরু হয় পরস্পরকে কটুবাক্য বিদ্ধ করার প্রতিযোগিতা। ফের তাপস রায় পাল্টা বলেন, ‘আমি দুর্নীতিগ্রস্ত, হেফাজতে থাকা লোক নই৷ কোনও ব্ল্যাক স্পট নেই৷ আমরা সাদা হাতি, অনুৎপাদক নই৷ আমরা দলের ডোবারম্যান, গ্রে হাউন্ড, গ্রেট ডেন৷ তাই বিপদ দেখলেই আমরা দলকে সতর্ক করি। শত্রু দেখলে তেড়ে যাই৷’ এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সখ্যতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুক্রবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাশ্রয়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তৎপরতা নিয়ে কী কারণে চুপ করে থাকেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তাপস৷ অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর যে সুদীপের কাছে নেই এমনটা নয়। তাই তাপসের মুখের ওপর সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিলেন সুদীপ।
Sudip Bandhyapadhya vs Tapas Roy ডোবারম্যান মানুষ নয়, কুকুরই হয়!’ আক্রমণের সুরেই তাপসকে জবাব সুদীপের।
Biman Bandhyapadhya কেমন আছেন’, বিধানসভার স্পিকারের মনে পড়ছে পার্থর কথা।
এদিন সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সুদীপ বলেন, ‘ডোবারম্যান মানুষ নয়, কুকুরই হয়৷ ১২ বছর ধরে আমি সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে আমিই সংসদীয় দলের নেতৃত্বে রয়েছি৷ তাই কার অনুমতি নিচ্ছি না নিচ্ছি, সেটা সম্পূর্ণভাবে দল বুঝবে৷’ উল্লেখ্য, তাপস রায়কে সরিয়ে উত্তর কলকাতার তৃণমূলের সভাপতি করা হয় সুদীপকে৷ দলীয় সূত্রে খবর, অভিমানবশত তখন থেকেই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় সংঘাত। এমনটাই অনুমান দলীয় কর্মীদের একাংশের। তবে দুই বর্ষীয়ান নেতা যেভাবে পরস্পরকে আক্রমণ করে চলেছেন, তা ক্রমেই তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এদের মুখে লাগাম পরাতে দলও বসে নেই৷ বুধবারই তাপস রায়ের বাড়িতে যান তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ কিন্ত তার পরও দুই নেতাই অন্তর্দ্বন্দ্ব জারি রেখেছেন।