Today Kolkata:- TET টেট বিক্ষোভে হাতে কামড় খাওয়া অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জন চাকরিপ্রার্থীকেই শেষমেশ জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। ৩০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। যাঁরা জামিন পেলেন, তাঁদের প্রত্যেককে অবশ্য থানায় হাজিরা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ধর্মতলায় ফের ধরনায় বসতে পারবেন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ ধরনার অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। জানা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে ৫টি জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছিল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজত দাবি করে লালবাজার। শুনানি চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের যখন ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়, তখন পুলিসের বিরুদ্ধে পাল্টা দমনমূলক আচরণের অভিযোগ করেন ধৃতদের আইনজীবী।
সরকারের কথায় কর্ণপাত না করে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালতের রায়ের পর আন্দোলনকারীরা জানান, এবার তাঁদের আন্দোলনের জোর আরও বাড়ল। এদিন আদালতে আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘এক আন্দোলনকারীকে পুলিশের বিরুদ্ধে কামড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু অভিযোগ যে পুলিশের বিরুদ্ধে তার উল্লেখ নেই ফরওয়াডিং লেটারে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এরা মাওবাদী নাকি যে, জামিন অযোগ্য ধারা দিয়ে সারা রাত আটকে রাখা হয়েছে?’ টানটান সওয়াল জবাবের পর ৩০ জনকেই জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের ন্যায্য চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামবই। আদালত বুঝেছে যে পুলিশের অভিযোগে সারবত্তা নেই। আমাদের হয়রান করার জন্য পুলিশ এসব করেছে।
TET অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন মঞ্জুর, ধরনার অনুমতি টেট চাকরিপ্রার্থীদের।
বাবাকে বাঁচাতে মেয়ের ত্যাগ ! অসুস্থ লালু প্রসাদ যাদবকে কিডনি দেবেন মেয়ে রোহিণী।
সিপিএমের বক্তব্য, সরকার যদি ভেবে থাকে দেশে আইন আদালত নেই, তাহলে ভুল করছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে বুধবার এক্সাইড মোড়ে জমায়েত হন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে পড়েন, অনেকে আবার প্রিজন ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। ব্যস্ত অফিসে টাইমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। রাস্তা থেকে জোর করে সরাতে গেলে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। সেই সময় একজনের মাথা ফেটে যায়। বহু চাকরিপ্রার্থী ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের দিকে ছটতে শুরু করেন! সেখানেও শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে গেলে অরুণিমা পাল নামে এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে নাকি কামড়ে দেন মহিলা পুলিশকর্মী! যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী।