Today Kolkata:- অবশেষে ট্যুইটার (Twitter) কিনে নিলেন টেসলার সিইও এলন মাস্ক। সংস্থার দায়িত্ব নিয়েই উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করলেন মার্কিন এই ধনকুবের। তিনি ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আপাতত সিইও পরাগ আগরওয়াল এবং ফিনান্স প্রধান নেড সেগাল কোম্পানির সান ফ্রান্সিসকো সদর দফতর ছেড়ে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের ফিরে আসার সম্ভবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আইনি নীতি, ট্রাস্ট এবং নিরাপত্তার প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিজয়া গাড্ডেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্থায়ীভাবে ট্যুইটার থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ট্যুইটারের বিভিন্ন প্রধান কর্মীদের বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক। উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক চলতি বছর ১৩ এপ্রিল ট্যুইটার কেনার ঘোষণা করেন। কিন্তু স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের কারণে তিনি সেই চুক্তি আটকে রাখেন।
এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ট্যুইটার। অক্টোবরের শুরুতে মাস্ক তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করে চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে সম্মত হন। ডেলাওয়্যার চ্যান্সেরি আদালতের বিচারক যদিও রায় দেন যে, ট্যুইটার চুক্তি বিচারের জন্য মাস্কের হাতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় রয়েছে। হয় ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতে হবে, নয় তো কোম্পানির সঙ্গে আদালতের লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। এরপর টুইটারের অফিসে পৌঁছে সবাইকে চমকে দেন ইলন মাস্ক। টুইটার কেনার কারণ আগেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, “আমি কী কারণে ট্যুইটার কিনলাম তা নিয়ে অনেক জল্পনা ছিল। যা বেশিরভাগই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
Twitter ট্যুইটার কিনলেন এলন মাস্ক, বরখাস্ত সিইও এবং সিএফও।
Weather update Kali puja পুজোয় দিন সকাল থেকেই নবান্নে থাকবেন মুখ্যসচিব ও শীর্ষ আধিকারিকরা।
ট্যুইটার কিনেছি যাতে আমাদের ভবিষ্যত খুব ভালোভাবে একটি সাধারণ ডিজিটাল জায়গা থাকতে পারে। যেখানে বিভিন্ন মতাদর্শ এবং বিশ্বাসের লোকেরা সহিংসতা ছাড়াই সুস্থ আলোচনা করতে পারেন।” এর পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি এও বলেন, ‘‘বর্তমানে আমরা একটি বড় বিপদের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়া দূর-ডানপন্থী এবং অতি বামপন্থীতে বিভক্ত হয়ে আছে। ভবিষ্যতে যা আমাদের সমাজকে বিভক্ত করতে পারে৷’’ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘টুইটার কেনার জন্য এলন মাস্ককে অভিনন্দন।”