মালদাঃ- হাতের শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে ভালো পাত্র দেখে ঘটা করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন দিনমজুর বাবা। বিয়ের মাস খানেক কাটতে না কাটতেই অতিরিক্ত যৌতুক ও জমির দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় অত্যাচার। নব বধূকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাই স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের (Vingol Gram Panchayet) কোলহা গ্রামে। এই নিয়ে কোলহা গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, প্রায় সাত মাস আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছোট মেয়ে রোজি খাতুনের সঙ্গে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলহা গ্রামের বাসিন্দা মংলা সেখের বড় ছেলে ফাইয়াজ আলমের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করতে শুরু করেন।
স্বামীর সঙ্গে ঘর-সংসার করতে হলে দিতে হবে দুই লক্ষ টাকা ও জমি এই বলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত স্বামী ফাইয়াজ আলম। দিনমজুর পিতা তাদের দাবি পূরণ করতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। গৃহবধূর অভিযোগ, আগামীকাল কুরবানী উপলক্ষে আজ সকালে ফোন করে ডেকেছিলেন স্বামী। শ্বশুরবাড়িতে পৌছাতেই পরিবারের লোকেরা তাকে প্রচন্ড মারধরের পাশাপাশি গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে এবং বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসলে তারা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়ের বাবা মতিউর রহমান জানান, তার তিন মেয়ে। রোজি খাতুন ছোট।
Vingol Gram Panchayet স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন গৃহবধূ।
Ratha Yatra শনিবার সাড়ম্বরে পালিত হলো উল্টোরথ।
দিনমজুর করে কোনোরকম সংসার চালায়। বিয়ের সমস্ত পাওনা পরিশোধ করে দেওয়া সত্ত্বেও এখনো আরো দুই লক্ষ টাকা ও জমি দাবি করছে। তাদের দাবি পূরণ করতে না পারায় মেয়ের উপরে এই ধরনের অত্যাচার করছে। আজকে তার জামাই মেয়েকে বাড়িতে ডেকে প্রচন্ড মারধর করে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় শ্বশুরবাড়ির সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূ রোজি খাতুন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।