Today Kolkata:- উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) প্রবল বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৈঠকে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় (North Bengal University) গিয়েছিলেন তিনি। বৈঠক শেষে বেরোনোর পর বিক্ষোভের সম্মুখীন হন ব্রাত্য বসু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (Vice Chancellor) ওমপ্রকাশ মিশ্র সহ আধিকারিকদের সাথে বৈঠক চলাকালীন ঝামেলার সূত্রপাত। বৈঠক চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় (University) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচির জন্য মাইক লাগানো শুরু হয়। সৌজন্যে বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করা হয় , অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) দিকে।
শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্চের ছাত্রছাত্রী সহ অধ্যাপকেরা। এ বিষয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র অভিজিৎ সান্যাল বলেন , ” বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি বেসরকারিকরণ এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন। প্রশাসনিক ভবনের সামনে মাইক বাঁধার কাজ চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা (Security) আমাদের জানান এখানে মাইক বাঁধার কোনও অনুমতি উপাচার্য দেননি৷ আমরা তাঁর কাছে নথি দেখতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। হঠাৎ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) এক নেতা আমাদের উপর চড়াও হন। যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িত কেউ নন। আমার মুখে এবং বুকে লাথি-ঘুষি চালাতে থাকেন। অবশেষে অধ্যাপকরা (Professor) এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’’
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালযয়ে উপাচার্যের সাথে বৈঠকে ব্রাত্য বসু , বৈঠক শেষে বিক্ষোভের মুখে শিক্ষামন্ত্রী।
অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কার্যকারী সভাপতি মিঠুন বৈশ্যের এসবকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘ওঁরা জানেনই না যে, কেন আন্দোলন করছেন। আন্দোলন বাঁচিয়ে রাখতে হবে, সে জন্যই এই ভুল পদক্ষেপ করেছেন৷ শিক্ষামন্ত্রীর একাধিক অনুষ্ঠানের দিকেই আমাদের নজর।’’ আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু।
উল্লেখ্য , বিশ্ববিদ্যালয় জমি সংক্রান্ত বিষয় আন্দোলন করছেন পড়ুয়াদের একাংশ। তাতে সমর্থন জানিয়েছেন অধ্যাপকরা। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘‘ক্যাবিনেটই শেষ সিদ্ধান্ত জানাবে। এটুকু বলতে পারি , বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি দেওয়া হচ্ছে না। বেসরকারিকরণও হয়নি। এটা সরকারেরই (Government) একটি দফতর থেকে আরও একটি দফতরে যাচ্ছিল। পর্যটন বিভাগ অন্যত্র জমি নেবে।’’