রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের পরোয়া না করেই জাল টিকাকাণ্ডে পথে নামতে চলেছে বিজেপি। সোমবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। করোনা বিধিনিষেধের জেরে লোকাল ট্রেন না চলায় কলকাতার ২ সাংগঠনিক জেলার কর্মীদের নিয়েই হবে এই কর্মসূচি।
বিজেপির দাবি, ‘কলকাতায় ভুয়ো টিকাকাণ্ডে যোগ রয়েছে শাসকদলের মাথাদের। নইলে খাস কলকাতার বুকে নিজেকে কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন প্রতারণা করে গেলেন একজন যুবক? কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গেও যোগসাজস রয়েছে তার। ফলে কলকাতা পুরসভা কার্যত দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতির সেই আখড়া ভাঙতেই এই ঘেরাও কর্মসূচি।
গত মাসে ভুয়ো টিকাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই পথে নেমে কর্মসূচি হবে বলে ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কারণ বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকে পথে নামার তেমন সুযোগ পায়নি তারা। ২ মে ফলপ্রকাশের পর ১৫ মে থেকে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। বিজেপি নেতৃত্বের আশা ছিল ১ জুলাই থেকে হয়তো চলবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু ট্রেন চালু করেনি সরকার। ফলে কলকাতার কর্মীদের নিয়েই কর্মসূচিতে নামতে চলেছে তারা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মহিলা ও যুব সংগঠনকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনের পর কলকাতায় প্রথমবার ঝড় তুলতে চাইছে তারা। দিন কয়েক আগে কলকাতার ২ সাংগঠনিক জেলার যুব ও মহিলা সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে বৈঠক করেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, করোনার বিধিনিষেধ জারি থাকায় ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা নিষিদ্ধ। তাই কর্মসূচি আয়োজনের জন্য পুলিশের অনুমতি মিলবে না। সেজন্য অনুমতি চেয়ে আবেদনও করবে না দল। সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ যেখানে বাধা দেবে সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি কর্মীরা।