বাড়ি ফেরা হচ্ছে না ছত্রধরের। জেলেই থাকতে হবে ছত্রধর মাহাতোকে। গৃহবন্দির আবেদন করেছিলেন ছত্রধর মাহাতো। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল এনআইএ প্রবল ভাবে আপত্তি জানায় তাঁর গৃহবন্দি থছাকার আবেদন নিয়ে। শেষমেশ সেই আবেদন খারিজ করেদিল বিশেষ এনআইএ আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জুন। সেই ১৫ জুন অবধি জেলেই কাটাতে হবে ছত্রধরকে। প্রসঙ্গত, রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে জেলে থাকতে হচ্ছে ছত্রধরকে। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন ছত্রধর। ১৫ জুন পরবর্তী শুনানিতে ফের ছত্রধরের আইনজীবিরা আবেদন জানাবেন গৃহবন্দি কিংবা জামিনের জন্য। ছত্রধরের আইনজীবিদের কথায়, ছত্রধর মাহাতো অসুস্থ রয়েছেন। শরীর ভালো নেই। তাই গৃহবন্দির আবেদন জানানো হয়। ঘরে ফিরে গেলেও তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানান আইনজীবিরা। কিন্তু তাতেও আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
এবার হাইকোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ছত্রধরের আইনজীবিরা। ১১ বছর এর আগে জেলে কাটান ছত্রধর। তারপর জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে জঙ্গলমহলে সংগঠনও সামলান। ছত্রধরকে মমতা ব্যানার্জি তৃণমূলের সম্পাদকের পদও দেন। কিন্তু জঙ্গলমহলে ভোটের পরই ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং বেআইনি কার্যকলাপ বিরোধী আইন বা ইউএপিএ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।