মঙ্গলবার কাবুল থেকে ভারতে ফিরে এসেই সেদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জানিয়েছিলেন, আফগানদের ভোলেনি ভারত। এদিকে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট। আর সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সব শরণার্থী আফগানকেই ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে শুধু সেই দেশের সংখ্যালঘুদের শরণ দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে থাকা যে সব আফগান ভারতে আসতে চাইবেন, তাদের সবাইকেই আশ্রয় দেওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে সিঙ্গল-এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হবে ৬ মাসের। তারাপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ‘স্ক্রুটিনি’র পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সকল শরণার্থী আফগানকেই আশ্রয় দেওয়া হবে ভারতে, ক্যাবিনেট বৈঠকে জানালেন মোদী
Read More-এবার কিউআর কোড জালিয়াতির পর্দাফাঁস করল বাঁকুড়া পুলিশ, গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড-সহ ২
জানা গিয়েছে দূতাবাস বন্ধ থাকায় বিনামূল্যে ই-ভিসা পরিষেবা চালি করা হয়েছে আফগান নাগরিকদের জন্য। সেই ভিসার মাধ্যমে সব আফগান নাগরিকই আবেদন জানাতে পারবেন ভারতে আসার জন্য। প্রাথমিক ভাবে ছয় মেস মেয়াদের ভিসা দেওয়া হবে আশ্রয় চাওয়া আফগানদের। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কাবুলের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের কেন্দ্র সরিয়ে এনেছে। কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসটি বর্তমানে স্থানীয় কর্মীরা রয়েছেন। তাঁরাই কাজ পরিচালনা করছেন বলে জানা গিয়েছে।
Read More-তালিবান-সমর্থন সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের পোস্ট নিষিদ্ধ করল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ
জানা গিয়েছে লোক কল্যাণ মার্গে নিজ বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকটি করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসতে চেয়ে ১ হাজার ৬৫০ জনেরও বেশি আবেদন জানিয়েছেন।
Read more-ঘরে ফেরার আনন্দে ‘ভারত মাতা কী জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিলেন কাবুল থেকে উদ্ধার হওয়া ভারতীয়রা
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিনিয়ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছেন। জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পরিস্থিতির খোঁজখবর নিয়েছেন এবং বিমানটি আকাশে ওড়ার পরও খোঁজ নেন পরিস্থিতি ঠিক ছিল কি না। জামনগরে ফিরে আসা সকলের জন্য পর্যাপ্ত খাবার-দাবারের ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত থাকে তার নির্দেশও দেন।