ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না। সেইসঙ্গে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে এমনটাই বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ নয় : কলকাতা হাইকোর্ট
Read More-নির্দেশ না মানায় রাজ্য পুলিশের কার্যনির্বাহী DG মনোজ মালব্যকে তলব হাই কোর্টের
শুক্রবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। হাইকোর্ট বলেছে, আন্দোলন করা যাবে। কিন্তু কাউকে ঘেরাও করা যাবে না। ‘এটা ছাত্র ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন নয়।’ সেইসঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে সমস্ত ব্যানার, পোস্টার সরিয়ে দিতে হবে। বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক ভবনের যেখানে যত তালা ঝোলানো আছে, তা সব ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শুক্রবার দুপুর তিনটে থেকে সেই কাজটা শুরু করতে হবে শান্তিনিকেতন থানাকে।
Read more-এবার শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেতে চলেছেন জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ির দুই শিক্ষক
বিশ্বভারতীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতন থানার অফিসার-ইন-চার্জকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে উপচার্যের কোনও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোনও লাউডস্পিকারের ব্যবহার করা যাবে না। সেইসঙ্গে উপাচার্যের বাসভবনে যে পক্ষই তালা ঝুলিয়ে দিতে থাকুক, তা ভেঙে দিতে হবে। সেটা উপাচার্য নিজে তালা লাগালেও তা ভেঙে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী বুধবার মামলার শুনানি হবে।
Read more-এবার থেকে ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাবে পড়ুয়ারা, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এমনিতে গত ২৮ অগস্ট থেকেই পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেছেন। বিশ্বভারতীর সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই আধিকারিকের কথায়, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপাচার্যকে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকবেন। তাঁরা যাতে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে।’