Today Kolkata:- অনুব্রতকে ক্ষুদিরাম বানিয়েছে তৃণমূল, ভাইপো অনুপম। ‘কাকা’র দিল্লি যাত্রার খবরে খুশি হয়ে ‘ভাইপো’ অনুপম হাজরা গুড় বাতাসা বিলি করেছেন। দিল্লির রাস্তায় গুড় বাতাসা বিলির পর তিনি পরামর্শ দিলেন রাজসাক্ষী হওয়ার। এতদিন অনুব্রত মণ্ডলের কণ্ঠেই শোনা যেত গুড় বাতাসা, নকুলদানার কথা। কিন্তু বীরভূম তৃণমূলের বেতাজ বাদশা সেই অনুব্রত মণ্ডল এখন বিপাকে পড়েছেন। গরু পাচার মামলায় তিনি জেলবন্দি। এই অবসরে বাইপো অনুপম হাজরা দিল্লির রাস্তা গুড় বাতসা বিলি করে তাঁকে কটাক্ষ করছেন।
দিল্লি রাস্তায় গুড় বাতাসা বিলির পর অনুপম বলেন, তৃণমূল ক্ষুদিরাম বানিয়ে ছেড়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার তাঁর উচিত রাজসাক্ষী হওয়া। এদিন গু়ড় বাতাসা বিলির পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের বিখ্যাত ডায়লগ চড়াম চড়াম নিয়েও কটাক্ষ করেন অনুপম। অনুপম বলেন, যদি অনুব্রত মণ্ডলের পিঠে চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজে তাহলে বড় নাম সামনে আসবে। অনুপম বলেন, রাজ্যের যত জেলা সভাপতি রয়েছেন, তার মধ্যে একমাত্র অনুব্রত মণ্ডলের কালীঘাট পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে ধরলেই বড় নাম উঠে আসছে। আমি আশা করব রাজসাক্ষী হয়ে অনুব্রত মণ্ডল যে সব বড় মাথারা দায়ী তাদের নাম সামনে আনবেন।
এই কেলেঙ্কারিতে দলের কারা কারা জড়িত তাদের নাম জানিয়ে দেওয়া উচিত। এদিন নীল পাজামার উপর গলায় গেরুয়া উত্তরীয় দিয়ে কপালে আবিরের তিলক কেটে একটি মাটির সরায় করে গুড় বাতাসা নিয়ে বিল করেন অনুপম। তিনি সিদ্ধান্ত নেন অনুব্রত মণ্ডলের কাছেও গুড় বাতাসা পাঠাবেন। উল্লেখ্য, এদিনই রাত ৯টা নাগাদ দিল্লি পৌঁছন অনুব্রত। রাতেই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।
৭০০ বছরের পুরনো মমিতে ঘুমিয়ে আছে স্পিরিচুয়াল প্রেমিকা, নাছোড় যুবকের বায়নায় তাজ্জব পুলিশও
বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নামে বাঘে-বলদে এক ঘাটে জল খেত। তাঁর এক একটা ডায়লগ রাজ্য রাজনীতিতে ছিল মার্কামারা। কখনও চড়াম চড়াম, কখনও পাচনের দাওয়াই তিনি দিয়েছেন। আবার গুড় বাতাসা থেকে শুরু করে নকুলদানার তত্ত্বও তাঁর তৈরি। এখন তাঁর ডায়লগ, তাঁর কথাতেই বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা তাঁকে কটাক্ষ করছেন। পাল্টা খোঁচা দিচ্ছেন। অথচ এই অনুপম হাজরার উত্থান অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে। অনুব্রত মণ্ডলকে কাকু বপলে ডাকতেন অনুব্রত।