পদ্মের মায়া কাটিয়ে অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee rejoins TMC)। রবীন্দ্র ভবনের সামনে মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর হাত থেকে পতাকা তুলে নিলেন রাজীব।
রাজীব বলেন, “আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাই।কৃতজ্ঞতা জানাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আমি ভুল করেছিলাম স্বীকার করছি। অভিমানে জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। আমায় মমতা বন্দোপাধ্যায় বারণ করেছিলেন। আমাকে অভিষেক ৩০ মিনিট বুঝিয়েছিলেন। আমি অনুতপ্ত। আমি ভুল করেছি। সেদিন কথা শুনলে আজ দিশাহীন হতাম না।”
রাজীবের কথায়, রোজি পিকচার দেখিয়েছিল বিজেপি। রোজি পিকচার অর্থাত্ মায়াবী বিভ্রম, কাকে বলছেন তিনি! ব্যখ্যা দিলেন তিনিই। বললেন, “চারিদিকে রোজি পিকচার দেখানো হয়েছিল। দলে ঢোকার আগে অনেক কথা বলা হয়েছিল। আমি আজ এগুলো বলছি এই কারণে যাতে আর কেউ না ভুল করে। বলেছিল সবকা সাথ, সবকা বিকাশ হবে। নেতাদের সাহস থাকলে আমার সামনে এসে বলুক। আমি কতবার বলেছিলাম পেট্রল-ডিজেল-রান্নার গ্যাস দাম কমাতে। কয়েকশো বার বলেছিলাম। আমার কথা শোনেনি।” আর সেই কারণেই তাঁর মোহভঙ্গ হয়েছে, বুঝিয়ে দিলেন রাজীব।
চোখের জলে তৃণমূল ছেড়ে ছিলেন তিনি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে নিয়ে। কিন্তু সুরটা কাটতে থাকে অল্প সময়ের মধ্যেই। ভোটে বড় ব্যবধানে পর্যুদস্ত পর্যুদস্ত হন রাজীব। তারপর থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তাঁর মনবদল। বিজেপিতে তিনি ছিলেন নামেই, কোনও মিটিংয়ে তাকে দেখা যেত না। বরং অন্ধ মমতা বিরোধিতার বিরুদ্ধাচারণ করে পোস্ট দিতে দেখা যায় রাজীবকে। ঘনঘন রাজিব যোগাযোগ রাখছিলেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও। কিন্তু রাজীবকে কি ঘরে ফেরানো আদৌ সম্ভব হবে, যেখানে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকেই সরাসরি রাজীব বিরোধী, প্রশ্নটা ছিল।
অবশেষে স্ট্র্যাটেজিতে কিস্তিমাত করল তৃণমূল। রাজীবকে তৃণমূল দলে নিল ত্রিপুরায়। ভোটের আগে অমিত শাহ চার্টার্ড বিমান পাঠিয়ে রাজীবকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন। তার বদলা হিসেবে রাজীবকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে তাঁকে ফিরিয়ে নিল দল।