সকাল থেকেই আগরতলার রাস্তায় রাখী বন্ধন উত্সব পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আগরতলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে একাধিক রাস্তা ঘুরে ঘুরে পথ চলতি মানুষের হাতে তারা যেমন রাখি বেঁধে দিল। তেমনি আগরতলার ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সক, স্বাস্থ্য কর্মী, রোগী ও তাদের পরিজনদের হাতেও রাখী বেঁধে দেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন কলকাতা থেকে যাওয়া যুব’র সদস্যরাও। আজ ত্রিপুরা রাজ্যের আট জেলা ও ৬০ বিধানসভা এলাকায় পালন করা হয় এই রাখী বন্ধন উত্সব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া ব্যানার ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছিল। যা ত্রিপুরা রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগরতলার রাস্তায় রাখী বন্ধন উত্সব পালন তৃণমূল কংগ্রেসের
Read More-BREAKING: আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আশিষলাল সিংহ জানিয়েছেন, রাখী বন্ধন একটা উত্সব। আমরা সকলের সাথেই আনন্দ ভাগ করে নিতে চেয়েছি। দলকে লাগাতার কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। ছাত্র-যুবদের গ্রহণযোগ্যতা সব থেকে বেশি। তাই সকলকে সাথে নিয়েই আমরা আজ আগরতলা সহ সর্বত্র রাখী বন্ধন উত্সব পালন করলাম। তবে তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সাথে নিয়েই এগোতে। যে ব্যানার ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তৈরি করা হয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, “বন্ধন সৌভাতৃত্বের, বন্ধন হোক রক্ষার, বন্ধন হবেই শান্তির রাখী পূর্ণিমার।” ত্রিপুরার নির্বাচনকে সামনে রেখে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিদিন একদিকে চলছে যোগদান, অন্যদিকে জোর কদমে চলছে প্রচার। এরই মধ্যে দলের একাধিক নেতা-নেত্রী কলকাতা থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন ত্রিপুরায়। একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। এমনকী বাদ যায়নি দুই সাংসদ দোলা সেন, অপরুপা পোদ্দার। তার পরেও অবশ্য দলীয় কর্মসূচী পালনে কোনও বাধা আসবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এর আগে ২১ জুলাই পালনে বাধা এসেছিল। একাধিক জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। বাধা এসেছিল খেলা হবে দিবসের আগেও।
যদিও আগরতলা শহরে রাস্তায় মিছিল ও মাঠে নেমে ফুটবল খেলেছিলেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা। এবার রাখিবন্ধনের দিনে পথচলতি মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া হল। তৃণমূল নেতা সুবোধ ভৌমিক জানিয়েছেন, “মানুষ পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চায়। আমরাও মানুষের পাশে আছি। মমতা বন্দোপাধ্যায় তাদের পাশে আছেন। চাইলেই তাকে এই রাজ্যের মানুষ পাবেন। সেই বার্তা দিয়েছি।” বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের এই কর্মসূচীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাদের নেতারা বলছেন, “যতই রাখী বন্ধন করুক। মানুষ ওদের বন্ধনে আর আবদ্ধ হবে না। ত্রিপুরার মানুষ জানে কাদের পাশে থাকতে হয়।” বিজেপিও একাধিক জায়গায় রক্ষা বন্ধন উত্সব পালন করেছে।