ক্রমশ শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিবাড়াবে জাওয়াদ। রবিবার সকালে অন্ধ্র এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে সেটি। তার জেরে শনিবার বিকেল থেকেই বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু হবে বৃষ্টি। গোপালপুর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ।
আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়াবে জাওয়াদ, রাজ্যের ১০ জেলায় সতর্কতা জারি
Read More-এবার টোকেন ছাড়াই শুধুমাত্র QR কোড স্ক্যান করেই চালু হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো
ধীরে ধীরে সেটি সমুদ্র থেকে জলীয়বাষ্প সঞ্চয় করে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। এদিকে জাওয়াদ আতঙ্কের মাঝেই ওড়িশায় দুর্ঘটনার কবলে হাওড়াগামী যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে। যদিও তেমন বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।
থাইল্যান্ডে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি ক্রমশ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গেপসাগর পেরিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে জাওয়াদ। হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিবাড়িয়ে সেটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। রবিবার সকালে সেটি ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছবে। ওড়িশা অএবং অন্ধ্র উপকূলেই ল্যান্ড ফল করার কথা জাওয়াদের। তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুরো ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে। বাংলাতেও মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলে ল্যান্ডফল করলেও তার প্রভাব পড়বে বাংলায়। উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে শনিরাবর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দুই মেদিনপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে জাওয়াদের। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী েথকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার বিকেল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া,মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম,পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলাও বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
জাওয়াদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। দমকল, পুরসভা, পুলিশ, এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স, সিইএসসি কর্তারা সরাসরি এই কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগে থাকবেন। ৯ টি ডিভিশনে থাকবে ডিএমজি টিম। প্রত্যেক টিমে চার জন করে থাকবে। মোট ৯ জন করে থাকবেন টিমে। বিপজ্জন বাড়িত তালিকা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে প্রত্যেক থানাকে। সেখানকার বাড়ির লোকেদের অন্যত্র সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গাছকাটার যন্ত্র, দড়ি, হাতুড়ি, রেন জ্যাকেট, ছাতা, গামবুট সব রকম ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। কলকাতা শহরের প্রত্যেক থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডেও এই জিনিসগুলি মজুত রাখতে বলা হয়েছে। লিশকর্মীকে ছাতা, রেইনকোট নিয়ে ডিউটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বোট যাতে সহজে পাওয়া যায় তার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গঙ্গা বক্ষে রিভার ট্রাফিক পুলিশ নজরদারি চালাবে।