More
    Homeআন্তর্জাতিকআমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ, জানাল শ্রীলঙ্কা

    আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ, জানাল শ্রীলঙ্কা

    Today Kolkata:-   আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাল শ্রীলঙ্কা।এদিন তারা ভারতের খুব সুনাম করেন।তাদের দেশে বিপদের সময় ভারত পাশে ছিল বলে জানায়। শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাব্রি জানাচ্ছেন, ”আমরা ভারতের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। ”গত মে-জুন মাসের ভাঙনের পর শ্রীলঙ্কা অনেকটা পথ চলে এসেছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দীর্ঘ লাইন নেই। পর্যটনও আগের জায়গায় ফিরেছে।পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার ও স্থিতিশীল হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় পার্টনার ভারত। আমার তো মনে হয়, বাকি সব দেশগুলি মিলে যা করেছে, ভারত একাই তার থেকে বেশি করেছে।

     

    ৩.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে, যা আমাদের নতুন শক্তি জুগিয়েছে। ভারতের কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।দেশের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ কমতে কমতে মাত্র ৫০ কোটি ডলারে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে তাদের পাশে যে দেশগুলি দাঁড়িয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে আগে রয়েছে ভারত। কেবল এগিয়ে থাকাই নয়, বাকি সব দেশ মিলে যা করেছে, তার চেয়েও বেশি করেছে নয়াদিল্লি।

     

    এভাবেই প্রতিবেশী দেশকে প্রশংসায় মুড়ে দিচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। প্রসঙ্গত,ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে খাদ্যপণ্য, ওষুধ ও জ্বালানির অভাবে মানবেতর জীবন কাটান ওই দেশটির বাসিন্দারা। আর সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছিল। সরকারি এমপিদের মারধরসহ নানাভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।তবে অর্থনৈতিক সংকটের জন্য বেশিরভাগ জনসাধারণের ক্ষোভ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের ওপর।

    আরও পড়ুন – Tripura Manik Sarkar নিজে নির্বাচনে লড়েননি, এবার নিজের কেন্দ্র হাতছাড়া মানিক সরকারের।

    জনবিক্ষোভের মুখে এরইমধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। গেল কয়েক মাস ধরে, শ্রীলঙ্কানদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এর মূল কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে আমদানিকৃত খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানির চরম ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। তেলের ঘাটতির কারণে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি। মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। যদিও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা বারবার সতর্ক করছিলেন।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments