Today Kolkata:- মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক মারাত্বক,সতর্কবার্তা। অসময়ের প্রচন্ড গরম। কিন্তু এর মাঝেই ঠাণ্ডা হাওয়া। ঘরে ঘরে হয়েছে সর্দি-কাশি, জ্বর। কারও আবার সঙ্গে বমি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বেহিসেবি অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন অনেকেই। এই প্রবণতা ডেকে আনছে বিপদ।এই মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া মারাত্বক ফল হবে।দেওয়া হল সতর্কবার্তা। প্রসঙ্গত,ঘরে ঘরে এখন দেখা মিলবে ডাক্তারের।
নিজেরাই রোগ কী হয়েছে তা বুঝে যাচ্ছেন, কী ওষুধ খেতে হবে সেটাও নিজেরাই ঠিক করে ফেলছেন, ওষুধের দোকান থেকে নিজেদের পছন্দ মতো সেই সব ওষুধ কিনে এনে মুড়ি মুড়কির মতো খাচ্ছেনও। তাও আবার বড়সড় কোনও রোগের জন্য নয়, মামুলি জ্বর-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, পেট খারাপের মতো ঘটনায় খেয়ে নিচ্ছেন নিজের ইচ্ছামতন সব ওষুধ যার বেশিরভাগটাই আদতে অ্যান্টিবায়োটিক আর এই অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যাধিক ব্যবহার ঘুর পথে বাংলার বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই। স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি নবান্নের অন্দরেও।
আরও পড়ুন – Tripura Manik Sarkar নিজে নির্বাচনে লড়েননি, এবার নিজের কেন্দ্র হাতছাড়া মানিক সরকারের।
এটা পরিবর্তনের কথা বলছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিশ দিয়েছে সেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরাও যেন অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করেন। রোগীরাও যেন ইচ্ছেমতো তা না খান।কী আছে নির্দেশে? সর্দি-কাশি, বমি, গলা ব্যথা, গা-হাত-পায়ে ব্যথা, ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ এক সপ্তাহের বেশি থাকছে না। তিন দিনেই জ্বর কমে যাচ্ছে। সপ্তাহ তিনেক থাকছে কাশি। তবে, এই ধরনের সংক্রমণকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এক্ষেত্রে সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিলেই হবে।
কিন্তু অনেকেই অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও অ্যামক্সিক্ল্যাভের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। এত বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে জীবাণুরা তার বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে Immunity গড়ে তুলবে। ফলে যখন সত্য়িই সংক্রমণ কঠিন হবে, তখন হয়ত অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। সেই কারণেই প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়ার নিদান ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের।