Today Kolkata:- মুখ্যমন্ত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নেব! হুঁশিয়ারি কৌস্তভের। রাত তিনটে। হঠাত করেই বাড়ির কলিং বেল বেজে উঠল। দরজা খুলতেই পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে অপমানজনক মন্তব্যের জেরেই রাতেই কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। কিন্তু দুঁদে আইনজীবীর কাছে রীতিমত চাপে পুলিশ। একেবারে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কৌস্তুভ। একের পর এক আইনি কাগজ দেখাতে বলেন । কিন্তু তা দেখাতে পারেনি তাঁরা। যদিও শেষমেশ সমস্ত আইনি কার্যকলাপ সেরে সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হল। আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড়। তাঁর সাহায্যে এগিয়ে এলেন একের পর এক বাম নেতা।
আরও পড়ুন – Tripura Manik Sarkar নিজে নির্বাচনে লড়েননি, এবার নিজের কেন্দ্র হাতছাড়া মানিক সরকারের।
এমনকি পাশে দাঁড়ালেন নৌসাদ- সৌমিত্র খাঁ’য়ের মতো বিরোধীরাও। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর এজন্যে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কৌস্তুভের জামিনের হয়ে আদালতে দাঁড়ালেন বাম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। সঙ্গে দাঁড়ালেন অন্তত ১০০ আইনজীবী। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে দিনের শেষে কংগ্রেস নেতার জামিন মঞ্জুর করল আদালত। আইনি লড়াইয়ে জয় কৌস্তুভের। গ্রেফতারের পর থেকে কোনও ভাবেই হাল ছাড়েননি তিনি। মুক্ত হতেই আরও আক্রমণাত্বক হয়ে উঠলেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন।
বলেন, স্বৈরতরি শাসন ব্যবস্থা চলছে। আর এই শাসন ব্যবস্থার পতন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে বলে হুঁশিয়ারি কংগ্রেস নেতার। শুধু তাই নয়, চুল ছেঁটে ফেলে কৌস্তুভের হুঁশিয়ারি, জতক্ষণ না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন ঘটছে চুল মাথায় গজাবে না। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জন্যে ক্ষমাও তিনি চাইবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতার দাবি, আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অধীর চৌধুরীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।