২০১৬ সালে নবম-দশমে চাকরি পেয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষক। অভিযোগ, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে। সুপারিশের ভিত্তিতে যোগ্যদের সরিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে অযোগ্যদের। সেই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় এসএসসি আদালতকে জানিয়েছে , তারা এমন ১৮৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে, যাদের নাম মেধাতালিকার নীচে থাকা সত্ত্বেও তাদের নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন, এই ১৮৩ জনের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন তাদের তালিকা আজকের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে SSC-কে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
প্রসঙ্গত, অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি কমিশনের কাছে আগেই জানতে চান , এই যে ১৮৩ জনকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ? তাদের চাকরি বাতিলের জন্য কী করেছে কমিশন ? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেভাবে বারবার রাজ্য হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাতেও অসন্তোষ প্রকাশও করেছিলেন।
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এসপি সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে চর্চা। ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তদন্তভার পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কথামতো কাজ , ১৮৩ জন ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
MORE NEWS – এবার ধেড়ে ইঁদুর সামনে আসবে’, দাবি বিচারপতির।
‘তদন্তে নিশ্চিত ধেড়ে ইঁদুররা এবার সামনে আসবে’। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার ফের একবার রুদ্রমূর্তি ধারণ করে এই মন্তব্য করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এবার এই মামলায় আরও বড় কোনও নাম সামনে আসবে। কমিশনের ওয়েবসাইটে নবম-দশম শ্রেণির ভুয়ো শিক্ষকের সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করারও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
CONTINUE READING