কেন্দ্রীয় বাজেটে গুরুত্ব পেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।!হাল কী ফিরবে নদীয়ার তাঁত শিল্প ও শ্রমিকদের?
নদীয়া :-
গতকাল বাজেট পেশ করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। বাজেটে বলা হয়েছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে জোর দেওয়ার কথা।
কেন্দ্রীয় বাজেটে গুরুত্ব পেয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।!হাল কী ফিরবে নদীয়ার তাঁত শিল্প ও শ্রমিকদের
Read more:- ইচ্ছে শক্তি ও সাহসের জোরে 55 বছরের মহিলার মাধ্যমিকে হাতে খড়ি
কিন্তু শান্তিপুর ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা বলেন এ বছর বাজেটে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলেই ভারত বিখ্যাত শান্তিপুর ফুলিয়া তাঁত শিল্প ধ্বংসের মুখ থেকে বেঁচে যাবে।
গত কয়েক বছর ধরে শান্তিপুর ফুলিয়ার হস্তচালিত তাঁত শিল্প প্রায় ধ্বংসের মুখে, হস্তচালিত তাঁত গুলিতে এখন মাকড়সা জাল বুনছে।
দীর্ঘদিন ধরে তাঁতগুলি বন্ধ থাকার কারণে ঝুল পড়ে গেছে, কারণ তাঁতের শাড়ি তে ব্যাপক মন্দা। আগের মত ব্যবসায়ীরা হাটে বাজারে গিয়ে শাড়ি বিক্রি করতে পারছেন না, সেই কারণেই তাঁত শ্রমিক দের মজুরি দিতে পারছেন না মহাজনেরা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবার তার ব্যবসায়ীরা অন্য রাস্তা বেছে নিয়েছেন, হস্তচালিত তাঁত বন্ধ করে দিয়ে চালু হয়েছে পাওয়ারলুম।।
অত্যাধুনিক মেশিনে অল্প খরচায় শাড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছেন অনেক তাঁত ব্যবসায়ী। যদিও হস্তচালিত তাঁতের শাড়ি থেকে অনেকটাই লাভের অংশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল পাওয়ার লুম মেশিনে তৈরি করা শাড়িতে।
আবার গত দুবছর ধরে শাড়ি তৈরির সুতো থেকে শুরু করে সমস্ত সরঞ্জামের অগ্নিমূল্য দাম বাড়ছে প্রতিদিন, এমনিতেই হস্তচালিত তাঁত প্রায় বিলুপ্তির পথে, অন্যদিকে প্রতিদিনই শাড়ি তৈরির সরঞ্জাম এর দাম বাড়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তাঁত ব্যবসায়ীদের। যার কারণে শান্তিপুর ফুলিয়ার ভারত বিখ্যাত তাঁত শিল্প আর টিকিয়ে রাখতে পারবেনা তাঁত ব্যবসায়ীরা।
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁত শ্রমিকদের, এমত অবস্থায় শান্তিপুর ফুলিয়ার তাঁত শ্রমিকদের সরকারের কাছে একটাই দাবি।তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এই মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে বড় ভূমিকা নেওয়া উচিত।না হলে আর হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পড়বেনা তাঁত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে তার শ্রমিকরা।