খাস কলকাতার বুকে ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্র চলছিল রমরমিয়ে। কলকাতা কর্পোরেশনের নামে বিনামূল্যে টিকাকরণের ক্যাম্প খোলা হয়েছিল। আর সেই খপ্পরে পড়েন সংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কলকাতার 107 নম্বর ওয়ার্ডে একটি টিকাকরণ শিবির চলছিল। সেখানেই টিকা নিতে গিয়েছিলেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর মোবাইলে কোনো মেসেজ না আসায় মিমির সন্দেহ হয়।
মিমি চক্রবর্তী ওই ক্যাম্পে গিয়ে সার্টিফিকেট কখন পাবেন জানতে চায়। তখন তাঁকে বলা হয় তিন চার দিন পর পাওয়া যাবে সার্টিফিকেট। তারপরই মিমির সন্দেহ বাড়ায় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। মিমি চক্রবর্তী জানান তাঁকে ঐ ক্যাম্প থেকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।পৌরসভার জয়েন্ট কমিশনারের উদ্যোগে সমকামী ও বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হচ্ছিল তাই তাঁকেও নিমন্ত্রণ জানানো হয়। মিমি জানান তিনিও ওই সেন্টারটিতে গিয়ে টিকা নেন।
অনেক লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকাও নেন। কিন্তু ফোনে ম্যাসেজ না আসতেই তাঁর সন্দেহ হয়। এই ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও মিমির অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ক্যাম্পের আয়োজককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ভ্যাকসিন জালিয়াতির কবলে যদি সাংসদ পড়তে পারেন তাহলে সাধারন মানুষকে কতটা চোখ কান খোলা রাখতে হবে তা বুঝিয়ে দিল এই ঘটনা।