দার্জিলিংয়ের ব্যাপক তুষারপাত, দার্জিলিংয়ে এই তুষারপাতে ভরপুর আনন্দে মেতে ওঠেন পর্যটকরা। বরফ নিয়ে খেলা করেত দেখা যায় তাঁদের। শীতের শেষেও এই ছবি একেবারেই বিরল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সমতল-সহ পাহাড়ে কয়েকদিন ধরেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত চলছে। কোথাও কোথাও আবার শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বুধবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটতে থাকে বাংলাজুড়ে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার খানিকটা স্বাভাবিক ছিল পরিস্থিতি। শনিবার প্রায় সারাদিন ছিল মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। কিন্তু শনিবার রাত থেকেই শিলিগুড়ি শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তার মধ্যেই কালো মেঘের ঘনঘটা। সঙ্গে চোখ রাঙানো বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয় পাহাড় ও সমতলে। যদিও এখনও পর্যন্ত শহর শিলিগুড়ির কোথাও জল জমার খবর নেই।
গোটা শীতকাল যে তুষারপাতের জন্য পর্যটকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছিল, শীতের বিদায়বেলায় ভরপুর তুষারপাতে তাদের আশ মিটল। ব্যাপক তুষারপাতে পর্যটকদের সমস্ত চাওয়া পাওয়া কড়ায়গণ্ডায় মিটিয়ে দিল হটাৎ বদলে যাওয়া এই আবহাওয়া। কয়েকদিন ধরেই সিকিমের কিছু জায়গার পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতে ব্যাপক তুষারপাত শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকেও সান্দাকফুতে তুষারপাত দেখে ভরপুর আনন্দ নিতে দেখা গেলো পর্যটকদের।
এই তুষারপাতে বসন্তেই শীতের আগমন ঘটল দার্জিলিংয়ে। এই ঘটনা একেবারেই বিরল বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি-সহ দার্জিলিংয়ের আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। শহর শিলিগুড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই কিন্তু আমূল বদলে যায় আবহাওয়া। কালো মেঘ আর দমকা বাতাসের পরই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি দহন জ্বালা জুড়িয়ে দেয় শিলিগুড়ির। এক নিমেষে হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও পাহাড়ের আবহাওয়া।
বিকেল নামতেই কালো মেঘে ঢেকে গেল পুরো আকাশ। তারপরেই শুরু হল ঝড়ো হাওয়া। ঝড়ো হাওয়া থামতেই তীব্র তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি শুরু হয় শহরজুড়ে। মৃদু বাতাস ও বৃষ্টির ফলে অত্যন্ত মনোরম হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি শহর। তারপর দুদিন স্বাভাবিক থাকলেও শনিবার থেকে শীতের আমেজ তীব্র হয় দার্জিলিংজুড়ে। রবিবার সকালে তুষারপাত হয় সান্দাকফুতে।
এই অকাল তুষারপাতে দার্জিলিংয়ে পর্যটকরা আপ্লুত। পাহাড়ের আবহাওয়াতে এই বিরাট পরিবর্তন হঠাৎ শিলাবৃষ্টির কারণেই। সমতলের পাশাপাশি দার্জিলিং শহর সহ সান্দাকফু, ঘুম বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে হয় শিলা বৃষ্টি। যার ফলে এক ধাক্কায় পাহাড়ি অঞ্চলের তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমেছে।