More
    Homeপশ্চিমবঙ্গদুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে রেকর্ড মুনাফা রাজ্যের, শীর্ষে দুই মেদিনীপুর

    দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে রেকর্ড মুনাফা রাজ্যের, শীর্ষে দুই মেদিনীপুর

    করোনা আবহে দেশ তথা রাজ্যের কোষাগারে টান পড়েছে বছর খানেক ধরেই। কিন্তু এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগিয়ে দিলেন সুরা প্রেমীরা। যাকে বলে লক্ষ্মী পুজোর আগেই লক্ষীলাভ! দুর্গাপুজোর কদিন মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ।  মাত্র কয়েকদিনে রাজ্য সরকার মদ বিক্রিতে কত মুনাফা করেছে তা জানলে চোখ কপালে উঠবে।

    দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে রেকর্ড মুনাফা রাজ্যের, শীর্ষে দুই মেদিনীপুর

    Read More-T-20 World Cup: আজ ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে মুখোমুখি ভারত-ইংল্যান্ড

    রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, দুর্গা পুজোর পাঁচ দিনে মদ বিক্রি করে মুনাফা হয়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। ৫ দিনের গড় হিসাব করলে, দিন পিছু ২০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে রাজ্যের। রিপোর্ট বলছে গতবারের থেকে পুজোতে দ্বিগুণেরও বেশি আয় হয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে নবমী। শুধু নবমীর দিনেই রাজ্যে মদ বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার।

    বলে রাখা ভাল, চলতি বছরে পুজোর সবদিনই মদের দোকান খোলা ছিল। সুরা প্রেমীদের ব্ল্যাকে মদ কিনতে হয়নি। একেবারে এমআরপি ধরে মদ কিনেছেন তাঁরা। ফলে রাজ্য সরকারের মুনাফা মার যায়নি। সব মিলিয়ে পুজোয় মদ বিক্রি করেই ১০০ কোটি টাকা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকল, এই পরিমান মদ বিক্রিকে ‘রেকর্ড বিক্রি’ বলছে এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট।

    Read More-পুজো কেটে গেলেও কাটল না জট, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এখনও চলছে পড়ুয়াদের অনশন, বিক্ষোভ

    রাজ্য সরকার সূত্রে যে পরিসংখ্যান জানা গিয়েছে তা দেখলেই স্পষ্ট, সাম্প্রতিক সময়ের সমস্ত পুজোকে ম্লান করে দিয়েছে একুশের পুজোর বিক্রি। তবে সেরার সেরা শিরোপা উঠেছে দুই মেদিনীপুরের সুরাপ্রেমীদের মুকুটে। এই দুই জেলাতেই প্রায় ২৮ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। আরও জানা গিয়েছে, এই পাঁচ দিনের মধ্যে আবার নবমী ছিল সুপারডুপার হিট। নবমীতে এমনিই মানুষের উন্মাদনা থাকে বাকি সব দিনের তুলনায় আলাদা থাকে। কারণ বিসর্জনের আগে শেষ আনন্দটুকু করে নেওয়া। আর সেদিন সারা রাজ্যে দেখা যাচ্ছে মদ বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৯ কোটি টাকার। সাম্প্রতিক কয়েক বছরের হিসেব দেখলে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছিল গতবার। প্রায় ৪৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল ২০২০ সালের পুজোয়। যদিও গতবার দশমীর দিন মদের দোকান বন্ধ ছিল। কিন্তু এবার সেসবের বালাই ছিল না। অনেকের মতে, এবার পুজোয় একটা ‘আবগারি আবহাওয়া’ ছিল। যা পারিপার্শ্বিক পরিবেশকেও অনুকূল করে তুলেছিল সুরাপ্রেমীদের জন্য।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments