কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ঘুরে গিয়েছেন দিনকয়েক আগেই। বীরভূমের একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা। যার মধ্যে ছিল নানুর, বোলপুর, সাঁইথিয়া, লাভপুর, ইলামবাজার সহ একাধিক এলাকা। কিন্তু এর পরেও হিংসা থামেনি বলেই অভিযোগ। নানুরে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম শ্যামল দাস। নানুর থানার পাকুরহাস গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ৫ মে পাশের গ্রামে কাজ সেরে ফিরছিলেন শ্যামলবাবু। সেই সময় তাঁকে ঘিরে ধরে জনা কয়েক লোক। কথা কাটাকাটির মাঝেই মারধর শুরু করে দেয় তারা। তৃণমূল কর্মীকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নানুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দিনকয়েক আগে তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বুধবার ভোর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পিটিয়ে মেরেছে শ্যামলবাবুকে। নানুর বিধানসভায় বিজেপি হেরে গেছে বলেই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে খবর। তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।