Today Kolkata:- প্রমোটারদের সাথে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ নবগ্রাম অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। হুগলির পাঁচটি শহরে অবৈধ নির্মানের অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। যদিও এই অবৈধ বহুতল আবাসন নির্মাণ নিয়ে বহুদিন থেকেই অভিযোগ উঠছিল। নির্বিচারে সবুজ ধ্বংস করে , জলাভূমি ভরাট করে অলিগলিতে বহুতল নির্মাণের ফলে উত্তর পাড়া , শ্রীরামপুর, রিষড়া , কোন্নগর, ডানকুনি এখন কংক্রিটের জঙ্গলে পরিনত হয়েছে ।
এরই সঙ্গে উঠে এসেছে নবগ্রাম ও কানাইপুর পঞ্চায়েতের নাম। তৃণমূলের মধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। কিছু দিন আগে তৃণমূলের এক বুথ সভাপতি স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমে নবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান ও তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে প্রমোটারদের সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ আনে। অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল পঞ্চায়েতের মদতেই চলছে গাছকাটা , পুকুর ভরাট এবং সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ছয়তলা নির্মান। সঙ্গে দোসর পুন: নির্বাচিত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার।
সম্প্রতি পুনরায় ওই পদে নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও কুখ্যাত প্রমোটার অপূর্বকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে, এমন একটি ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় তৃণমূলের এক বড় অংশের বক্তব্য এই অসাধু প্রমোটারদের হাতের পুতুলে পরিনত হয়েছে পদাধিকারী তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হুগলি জেলার সর্ববৃহৎ হিন্দ মোটর কারখানা সংলগ্ন জলাভূমি ভরাট হয়ে যাওয়ায়। ১৫০ একর জলা ভরাট করে গড়ে উঠছে বহুতল। এর ফলে এক দিকে নিকাশি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে সবুজ ধ্বংস হওয়ার অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তবে নবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান অবৈধ ছয়তলা ও অপরিকল্পিত নগরায়নের বিষয়ে ভাবতে নারাজ।
স্থানীয় সামাজিক সংগঠন গনউদ্যোগ জানিয়েছেন, জনমুখী উন্নয়ন সম্পর্কিত ধারনার অভাব ও ব্যক্তিগত লোভের জন্যই রাজ্যের অন্যান্য অনেক অংশের মতো নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়ও পরিবেশগত সমস্যায় জর্জরিত।অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার জানিয়েছেন,” পুনঃ নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় কর্মী হিসেবে মন্টু মিষ্টি খাইয়ে ছিল। এর সঙ্গে প্রমোটারির কোন সম্পর্ক নেই ।” আর উপপ্রধান গৌর মজুমদার মনে করে,” স্থানীয় পঞ্চায়েতের উন্নয়নের স্বার্থে রাজস্ব বাড়াতে বহুতল নির্মান প্রয়োজন।”