Today Kolkata:- ‘ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই।’ কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৯ জন বিরোধী নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “একদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে মণীশ সিসোদিয়ার (Maniah Sisodiya) জন্য আম আদমি পার্টি ভয় পেয়ে রয়েছে, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য আতঙ্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister) চাপে রাখতে বিরোধীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তার কাছে মোদীজি নতি স্বীকার করবেন না।”
চিঠিতে বলা হয়েছে , বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হেনস্থা করতেই সিবিআই, ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজনীতিক যাঁরা পরবর্তীতে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে (Himant Bishwasharma) নিশানা করা হয়েছে বিরোধীদের দেওয়া চিঠিতে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে এই চিঠিতে স্বাক্ষর নেই কংগ্রেসের কোনও নেতার। কংগ্রেস (Congress) ছাড়া অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রীকে (Prime Minister) এই চিঠি ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী জোটের এক অন্য সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
চিঠিতে রাজ্যপালের অফিসের বিরুদ্ধে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগও করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে রাজ্যপালরা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ সৃষ্টি করছেন। বিরোধী নেতারা দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পাশাপাশি, এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
Suvendu Adhikari ”ভয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি, এই চিঠির মূল্য নেই ”- শুভেন্দু অধিকারী।
MORE NEWS – নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সাদা করার কৌশলে ব্যবসায় বিনিয়োগ? সন্দেহ প্রকাশ ইডি কর্তাদের।
‘ঋণ’ বাবদ কয়েক ধাপে টাকা দিয়েছেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh) । ইডি জিজ্ঞাসাবাদে এমনই তথ্য দিয়েছেন সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakrabarty)। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত এমন চার থেকে পাঁচটি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে , যেখানে সোমার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গেছে। তাতেই ইডির সন্দেহ নিয়োগ দুর্নীতির টাকা এই ভাবেই অ্যাকাউন্ট বদল করে করে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে প্রভাবশালীদের কাছে। CONTINUE READING