Today Kolkata:- ফুরফুরা শরিফের মাথা থেকে ফিরহাদকে সরালেন মমতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদে এই বিরাট বদল রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। একটা উপ-নির্বাচন অনেক হিসেব-নিকেশ বদলে দিয়েছে। সারগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থীকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে ফল নাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। সাগরদিঘির মোট ভোটারের ৬৪ শতাংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। স্বাভাবিকভাবে মুর্শিদাবাদের ওই কেন্দ্রে একটি বড় অংশের সংখ্যালঘু ভোট হারাতে হয়েছে তৃণমূলকে। আইএসএফ বিধায়ক তথা ফুরফুরা শরিফের পীর পরিবারের সদস্য নওশাদ সিদ্দিকী গ্রেফতারি নিয়ে সংখ্যালঘুদের মনে তৃণমূল সম্পর্কে একটা অসন্তোষ তৈরি হয়। বিষয়টির আঁচ পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। তাই কোপ ফিরহাদ হাকিমের উপর।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা এমনই। ফিরহাদ হাকিমকে ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাথায় বসিয়ে সংখ্যালঘুদের একটা বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সংখ্যালঘুদের একটা অংশ এবার তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে বলে ভাবনা তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেছেন বলেও সূত্রের খবর।
৭০০ বছরের পুরনো মমিতে ঘুমিয়ে আছে স্পিরিচুয়াল প্রেমিকা, নাছোড় যুবকের বায়নায় তাজ্জব পুলিশও
ভাঙড়ের আইএএসফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে পীরজাদাদের একটা বড় অংশ শাসকদল তৃণমূলের প্রতি অত্যন্ত রুষ্ট হন। এমনকী প্রকাশ্যে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, ফিরহাদ হাতিম টানা কয়েকবছর ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হয়েও নওশাদ-গ্রেফতারি নিয়ে পীরজাদাদের একটি বড় অংশকে বোঝাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছেন। এই বিষয়টিই ভালোভাবে নেননি মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত সেই কারণেই এবার ফিরহাদকে সরিয়ে হুগলি জেলারই বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেছেন তিনি।