Today Kolkata:- বাংলা আরও এগাবে, চাল থেকে ইলিশ মাছ সব দিকে নজর রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মাছ-পেঁয়াজ-আলু-ইলিশ মাছ-ড্রাগন ফল-সহ একাধিক সবজি ও ফল উৎপাদনে বাংলা স্বনির্ভর মমতার জন্য। রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিধানসভা অধিবেশনের একেবারে শেষ বেলায় এসে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সে-সময় খাদ্য দফতরের বাজেট নিয়ে জবাবি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ।
তার রেশ ধরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসাশন সূত্রে জানা গিয়েছে,রেশন কার্ডে রাজ্যে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ এমন রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে যাঁরা নাম থাকলেও রেশন তুলতেন না। অন্য কেউ নিয়ে নিত। এতে রাজ্যের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। কৃষকদের থেকে চাল ক্রয় আগে এফসিআই থেকে চাল আসত। কিন্তু তা এতটাই খারাপ মানের যে রাজ্য সরকার তা নেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তার বদলে বাংলার কৃষকদের থেকে চাল নিতে শুরু করে। এতে কৃষকরা উপকৃত হন। এ-বছর প্রায় ১০০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল কিনেছে রাজ্য।আলু সংরক্ষণ আগে অনেক আলুচাষি দাম পেতেন না। রাজ্য সরকার আলু কিনে তা সংরক্ষণ করে। আইসিডিএস ও মিড-ডে মিলে তা কাজে লাগানো যায়। এতে চাষিরা উপকৃত হন। কৃষক ক্ষতিপূরণ এ-রাজ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু হয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। বিমার টাকাও দেওয়া হয়। কোনও কৃষক মারা গেলে তার পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পায়।স্বর্ণধান আয়লা-আম্ফানের মতো সামুদ্রিক ঝড়ে জমিতে নোনা জল ঢুকে চাষের ক্ষতি করে। কৃষি বিজ্ঞানীদের সহযোগিতায় সেখানেই নষ্ট হয়ে যাওয়া ধান থেকেই নতুন ধান তৈরি হয়।
একে স্বর্ণধান বলে। এতে উপকূলের মানুষ উপকৃত হন। পোস্ত চাষ ১১০০ টাকায় গ্যাস কিনব আবার ২০০০ টাকায় পোস্ত কিনব কেন? বাংলাকে পোস্ত চাষের অনুমতি দেওয়ার দাবি কেন্দ্রের কাছে। অনেক সময় কোনও সিদ্ধান্ত একসঙ্গে মিলে নিতে হয়। পোস্ত তো সকলেই খান। বিরোধীদের প্রতি আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। আর সব পোস্ত থেকে ড্রাগ হয় না। বক্তব্য তাঁর।পেঁয়াজ আগে নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনতে হত। এখন রাজ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়। বাঁকুড়া-মুর্শিদাবাদ-বীরভূমে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হশেছিল। এখন ভাল হচ্ছে রাজ্য।হাঁস-মুরগির পোলট্রি রাজ্যে হাঁস-মুরগির পোলট্রির জন্য সরকার সাহায্য করছে। ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন – অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সতর্ক রাজ্যসরকার,একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি
ডিমের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। আগে হায়দরাবাদ থেকে আনতে হত। এখন ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ নিজেরাই উৎপাদন করছি। বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ কিনতে হত। এখন ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ চাষের গবেষণা ও চাষ হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার তিন কোটি মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিতে রাজ্য সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। রাজ্যকে এই চালের অর্থ দিক কেন্দ্র। গোবিন্দভোগ চালের উপর থেকে কর কমানোর দাবিও করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য নানা ধরনের মাছ-সবজি উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে। আরও এগবে। আজ বাংলা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে।