Today Kolkata:- অপ্রিয় সত্য হল বাম-কংগ্রেস চায় অনবরত বিজেপির সঙ্গে মমতার ঝগড়া লেগে থাকুক।
শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য যে বাম কংগ্রেস আপ্রাণ এই বিভেদের বীজ বপনের চেষ্টায় অবিরত চেষ্টিত। যাতে মমতা ও বিজেপির সংঘাত লেগে থাকে আর মমতা ও তার সরকার বিব্রত থাকে। তাতে ওদের কি লাভ? সহজ লাভ মমতাকে বিজেপি ইডি সিবিআই দিয়ে বিব্রত রাখুক। আর দুর থেকে ওরা মজা দেখবে।
কেননা কমিউনিস্টরা তো “ফসিল’ এখন। জীবন্ত অর্থাৎ ক্ষমতায় ফিরে আসা ভীষণ কঠিন। যারা একটা সময়ে চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান বলত। যারা ভারতবর্ষকে চীনের থেকে খারাপ, অপদার্থ রাষ্ট্র হিসাবে ভাবত তাদের পক্ষে সবকিছুই বলা সম্ভব। চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান বলার পর নেহেরু এদের পলিটবুরোর প্রায় সব নেতাকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।
একটা সময়ে এই বামেদের ৬৪ জন লোকসভার সদস্য ছিলেন। এখন জনা দুই লোকসভায় টিম টিম করে জ্বলছেন। অথচ এদের নেতারা যখন মিডিয়ায় ভাষণ দেন মনে হবে দেশটা তারাই চালাচ্ছেন। আসলে তারা এখন মানুষের কাছে অপাংক্তেয়। কেউ পাত্তা দেয়না। কমিউনিষ্টরা কখনও ভারতের নন। তাদের একটি অংশ চীনের সমর্থক, আরেকটি অংশ রাশিয়ার। এদের ভারতের জন্য কোন অবদান নেই । বরং এরাই প্রথম ভারত ভাগের কথা বলেন। এবং মনে প্রাণে পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন। এরা ভারত বিরোধী, উপরন্তু হিন্দু বিরোধী হিসাবে গায়ে তকমা লাগিয়ে ফেলেছে।
Covid-19 আবারও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
এরা এখন অহিন্দু খ্রিষ্টান সমৃদ্ধ কেরলে শাসন করছে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধীতা করে শাসন করছে। আর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যতা করে চলেছে এই দুমুখো দলটি। আর তাদের এখন মুল উদ্দেশ্য তৃণমূলকে দুর্বল করে এই রাজ্য আধিপত্য বিস্তার করা। তাই বিজেপির সঙ্গে সংঘাত লাগিয়ে রাখতে পারলে ওদের সুবিধা। চায় বিজেপি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে মমতার দল ও সরকারকে বিব্রত রাখুক।
তারা মজা দেখবে। দেরিতে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথায় বিষয়টি বেশ নাড়া দিয়েছে। তিনি ওদের কারসাজি ধরে ফেলেছেন। তিনি বুঝেছেন মাথা ঠান্ডা রেখে লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে। সবসময়ই সংঘাত করা কোন ভাল ফলদায়ক নয়। আর বাম সিপিএমে সেটাকে অন্যভাবে মানুষের সামনে দিদি মোদি আঁতাত বলে তুলে ধরে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করার দুরভিসন্ধি করে চলেছে। যদিও তাতে ফায়দা হবেনা। ২৯৪ টি আসনের মধ্যে একটি ‘সাগরদিঘি’ নির্ণায়ক হতে পারে না। বরং দুর্ঘটনা বলা চলে।