Today Kolkata:- ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিনের একটা মন্দিরের। ছোট্টো গ্রামেরই মাঝে সেরকম ভাবে ছিল না পূর্জা আর্চনার সুপ্রতিষ্ঠিত স্থায়ি স্থান। দেবদেবিদের আরাধনার জন্য দূরে পাড়ি দিতে হত অনেককেই। অবশেষে গ্রামবাসির ইচ্ছের দেবী মনসার প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা মান্যতা দিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ধবন অঞ্চলের আমপাহাড়ি গ্রামের দেবী মনসা ও মহেশ্বরের মন্দির। রাঢ বাঁকুড়া অতি পরিচিত এক লৌকিক দেবী মা মনসা। পুরাণে কথিত আছে ঋষি কাশ্যপ ও নাগ-জননী কদ্রুর কন্যা দেবী মনসা। খ্রিস্টীয় ১৪শ শতাব্দী নাগাদ মনসা প্রজনন ও বিবাহের দেবী হিসেবে চিহ্নিত হন এবং শিবের আত্মীয় হিসেবে শৈব দেবমণ্ডলীর অন্তর্ভুক্ত হন। কিংবদন্তি অনুসারে, শিব বিষ পান করার পর মনসা মধ্যে তা সঞ্চার হয় এবং ‘বিষহরা’ নামে পরিচিত হন। মনসার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং তা দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
ধীরে ধীরে মনসা-কেন্দ্রিক ধর্মীয় গোষ্ঠীটি শৈবধর্মের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়। এর ফলে শিবের কন্যা রূপে মনসার জন্মের উপাখ্যানটি রচিত হয় এবং শেষ পর্যন্ত শৈবধর্মও এই আদিবাসী দেবীকে মূলধারার হিন্দুধর্মের ব্রাহ্মণ্য ধারার অন্তর্ভুক্ত করে । আর তাই দেবী মনসা ও ভগবান শিব কে একই স্থানে রেখে পুজো অর্চনা করার জন্য উপযুক্ত মন্দির নির্মান করল সেন পরিবার। জানা যায় পূর্বাপুরুষের স্মৃতি উদ্যেশ্যে মন্দিরটির আগামী ৬ ই জুলাই বুধবার থেকে ১৩ই জুলাই বুধবার পর্যন্ত পূজা অর্চনা যাগ-যজ্ঞ ও চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। শুশুনিয়ার ধারার জলের মাধ্যমে ঘট প্রতিস্থাপনের সাথে থাকবে প্রতিদিন চন্ডিপাঠ ও সন্ধ্যারতি।
ভক্তি শ্রদ্ধায় মেতে উঠতে গ্রামবাসীকে মন্দির গড়ে দিলেন সেন পরিবার।
MORE NEWS – মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাবা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে।
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বাবা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে জমি লিখিয়ে নেওয়ার জন্য বাবা আমাকে মার ধরের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আক্রান্ত বৃদ্ধ দম্পতিসহ বৃদ্ধ দম্পতির নাতি। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিবাজি নগরের আদিনা এলাকায়। আক্রান্তদের চিকিৎসা করানো হয় হাতি মারি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সোমবার পুরো ঘটনা নিয়ে আক্রান্ত দম্পতি ভাষা সিংহ ও পাতানি সিংহ গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ করতে দারস্ত হন। অভিযুক্ত ছেলে কার্তিক সিংহ এবং তার স্ত্রী মানসী সিংহের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে থানায় দারস্ত হন আক্রান্ত দম্পতি। CONTINUE READING