মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ থাকার পর এক সাংবাদিক তথা সমাজকর্মীর পোড়া দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বিহারের মধুবনীতে। মৃতের নাম বুদ্ধিনাথা ঝা ওরফে অবিনাশ ঝা। । শুক্রবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বেতুনের কাছে জাতীয় সড়কের উপর। মঙ্গলবার তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
ভুয়ো মেডিক্যাল ক্লিনিক নিয়ে ফেসবুক পোস্ট ! বিহারে সাংবাদিকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার
Read more-জ্বালানির ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিল ঘিরে তীব্র উত্তেজনা, রণক্ষেত্র বারুইপুর
পুলিশ সূত্রের খবর, বুদ্ধিনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ ঝা নামক ওই সাংবাদিক স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন।ফেসবুকে তিনি একটি মেডিক্যাল ক্লিনিককে ভুয়ো বলে একটি পোস্ট করেছিলেন। ফেসবুকের ওই পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পরই বেশ কয়েকটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। এমনকি বেশ কয়েকটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই কাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জরিমানা নেওয়া হয়।এদিকে ফেসবুকে অই পোস্টটির পরই বুদ্ধিনাথের কাছে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে। অনেকেই আবার মুখ বন্ধ করার জন্য লক্ষাধিক টাকার ঘুষ দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই সে নিজের কর্তব্য থেকে সে সরে আসেনি।মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫৮ মিনিটে তাঁকে শেষবারের জন্য বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়। বাড়ির কাছেই বসানো একটি সিসিটিভি ফুটেজে (CCTV Footage) দেখা গিয়েছিল বাড়ি থেকে কারোর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে সে রাত ন’টা নাগাদ বের হয়েছিল। বাড়ির গলিতেই অবস্থিত নিজস্ব অফিসেও ঢুকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেসময় গলায় হলুদ রঙের একটা স্কার্ফ জড়ানো ছিল। লোহিয়া চক এবং বেনিয়াপট্টি থানা পেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাত ১০টা ১০ মিনিটে বুদ্ধিনাথকে স্থানীয় এক বাজারে দেখেন তিনি। শেষ বারের মতো ওই বাজারেই দেখা গিয়েছিল বুদ্ধিনাথকে। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
Read more-এনকাউন্টারে খতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা মিলিন্দ, ঘোষণা মহারাষ্ট্র পুলিশের
বুধবার সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বুদ্ধিনাথকে না দেখতে পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বাড়িতেই তাঁর মোটরসাইকেল ছিল। তাঁর অফিসের দরজাও খলা ছিল। এমনকি যে ল্যাপটপে তিনি কাজ করতেন, সেটিও খোলা অবস্থায় দেখেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর ধারেকাছে তাঁকে না খুঁজে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানায় ডায়েরি করেন তাঁরা।
অভিযোগ পেতেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে পুলিশ। বুদ্ধিনাথের মোবাইলের অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। দেখা যায় বুধবার সকালেই ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মোবাইওলটি বেনিয়াপট্টি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বেতুনে মোবাইলটি রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু এরপর আর কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। অবশেষে শুক্রবার বেতুনে জাতীয় সড়কের উপর বুদ্ধিনাথের পোড়া দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।