Today Kolkata:- মার্কিন রিপোর্টে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ। ভারত যে কোনও সময় পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারে। যা হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে শক্তিশালী হওয়ায় সংকট আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন রিপোর্টে। সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীরে হিংসা ও সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর কিছুটা কম হলেও, মাঝে মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটছে। এই হামলা যে সীমান্ত পার করে হচ্ছে তা বারে বারে অভিযোগ করেছে। যদিও পাকিস্তান তা মানতে নারাজ। পাকিস্তানের অভিযোগ জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। এর জবাব অবশ্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দিয়েছে ভারত।
আমেরিকার ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির রিপোর্ট অনুসারে দু-দেশের মধ্যে উত্তেজনার কারণে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকেই যায়। ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানের সমর্থন করার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের উসকানির জবাব দিতে পারেন বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এই জবাব দিলেই দুদেশের মধ্যে বড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত ২০১৮-তে পুলওয়ামার সন্ত্রাসবাদী হামলার জবাব ভারত দেয় ২০১৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১২ টি মিরাজ ২০০০ জেট বিমান নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে আঘাত করে।
আমেরিকার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে দারিদ্র বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানেও। এছাড়াও আর্থিক উন্নয়নেও তা বাধা তৈরি করেছে। আর্থিক পরিস্থিতির কারণে বেড়েছে অস্থিরতা। আগে থেকে চরমপন্থা ও পর্যাপ্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকার কারণে অস্থির পরিস্থিতি পাকিস্তানে আগে থেকেই ছিল। বর্তমান সময়ে তা আরও বেড়েছে। আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুধু আঞ্চলিক নয়, বিশ্বব্যাপী সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ছে। সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এব্যাপারে মার্কিন হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে, বিশ্বব্যাপী হুমকির নানা বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।