Today Kolkata:- যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের পাশে বসছে নেশার আসর,দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লাইট চুরির অভিযোগ। তেলিপাড়া থেকে চালসা পর্যন্ত ৩১সি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে চার বছর হতে চলল। কিন্তু রাস্তা সম্প্রসারণের পর যাত্রী সুবিধার্থে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ধারে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে যাত্রীপ্রতিক্ষালয়, এবং রাতে আলোকিত রাখতে রাস্তার দুই ধারে থাকা যাত্রীপ্রতিক্ষালয় গুলিতে লাগানো হয়েছিল ভ্যাপার লাইট।
কিন্তু এতটা বছরে পরেও কিন্তু সেই বাসস্ট্যান্ড গুলি যেমন চালু হল না তেমনি লাইটগুলিও জ্বলল না।অভিযোগ,সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে নতুন বাসস্ট্যান্ড।তখন গোটা এলাকা অন্ধকারের ডুবে যাচ্ছে।সেই সু্যোগে যাত্রীপ্রতিক্ষালয় গুলিতে সন্ধার পর বসছে নেশার আসর।
দুষ্কৃতীরা যাত্রীপ্রতিক্ষালয়ের লাগানো টাইলস গুলিও খুলে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় কিছু কিছু বাসস্ট্যান্ডে নতুন লাইট পোস্ট গুলি রাতের অন্ধকারে খুলে নিয়ে যাচ্ছে চোরের দল। চুরি যাওয়া লাইট পোস্ট উদ্ধারের জন্য গতবছর বানারহাট থানায় জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করে। আর এই কারনে তেলিপাড়া, বিন্নাগুড়ি, বানারহাট, রেডব্যাংক, এলাকার বাসিন্দাদের দাবী জাতীয় সড়কের ধারে নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ড গুলি চালু করা হোক। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর জ্বালানো হোক বাসস্ট্যান্ডের আলো। যদিও বানারহাট থানার ট্রাফিক ওসি কমল দে বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যেসকে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন – শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টলি-যোগ ? ইডি-র নজরে টলিউডের আরও পাঁচ অভিনেতা অভিনেত্রী
দীর্ঘদিন থেকে আগে যে এলাকায় গাড়ি দাড়াতো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকাতেই গাড়ি গুলিও সেখানে দাড়াচ্ছে। ট্রাফিকের পক্ষ থেকে যানজটের সমস্যা গুলি নিয়ে আমরা মাঝেই মাঝেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে জাতীয় সড়কে নতুন বাসস্টপেজ গুলি চালুর বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও বাস মালিক ওনার্স আসোসিয়েশনের সাথে কথা বলা হবে। । বিন্নাগুড়ির বাসিন্দা গৌতম রাউত জানান, জাতীয় সড়ক তৈরি হয়েছে প্রায় বছর চার হলেও চালু হয়নি নতুন বাসস্ট্যান্ড ও জ্বলছে না রাস্তার ধারের লাইট। এই কারনে অন্ধকারাচ্ছন্ন বাসস্টান্ডে চলছে মদের আসর, জুয়ার আড্ডা সহ অসামাজিক কাজকর্ম। যদি নতুন এই বাসস্টান্ড চালু করলে চৌ রাস্তায় মাঝে যেমন যানজট কমবে এবং সাধারন মানুষের ভোগান্তি কমবে।
তেলিপাড়া ব্যাবসায়ী শম্ভু দাস জানান, প্রশাসনের সামনেই জাতীয় সড়কে যেখানে সেখানে গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানোয় যানজট ব নিত্যদিনের সমস্যা। সাথে বাড়ছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। তাই জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত নতুন বাসস্ট্যান্ড গুলি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া। বানারহাটের বাসিন্দা অয়ন দাস জানান, জাতীয় সড়ক তৈরি হলেও তৈরি করা হয়নি পার্কিং ব্যবস্থা। তাই রাস্তার উপরেই যত্র তত্র ছোট গাড়ি টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। এরপরে যাত্রীবাহী বাস গুলি নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠা নামা করানোয় এই যানজট সমস্যা বাড়ে বানারহাটের এল আর পি মোড়ে।
স্থানীয় প্রশাসনের উচিত পার্কিং ব্যবস্থা তৈরির পাশাপাশি নবনির্মিত বাসস্টপেজ গুলি চালু করা ও রাস্তার ধারে লাইট গুলি জ্বালানোর ব্যবস্থা নেওয়া। তবে কিছুটা যানজট সমস্যা কিছুটা কমবে বলে মনে হয় এবং ট্রাফিক নিয়ম না মানলে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করুক। বানারহাট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুবীর দাস জানান, বানারাহট এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরেই যত্রতত্র যাত্রীবাহি গাড়ী দাড়ানোর ফলে যানজট বাড়ছে দুর্ঘটনা সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়া দোকানের সামনে এসে যাত্রী ও বাস দাড়ানোয় ব্যবসায়ায়ীদের সমস্যা পড়তে হচ্ছে। তাই আমাদের দাবী পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ যানজট কমাতে উদ্যোগ নিক এবং নতুন বাসস্ট্যান্ড গুলি চালু করার ব্যবস্থা করা হোক। বানারহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তবারক আলি জানান, জাতীয় সড়কের ধারে নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার পরেও সেখানে যাত্রীবাহি গাড়ি গুলি সেখানে না দাঁড়িয়ে জাতীয় সড়কের উপরেই দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। এটা এলাকার স্থানীয় দীর্ঘদিনের সমস্যা।
কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। শীঘ্র বাসস্টান্ড ও রাস্তার ধারে লাইট গুলি জ্বালানোর উদ্যোগ নিক জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন। এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানান হয়, স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড গুলি চালু করবে। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ডে থাকা লাইট গুলি জ্বালানোর ব্যপারে খরচের একটি খরচ জাতীয় সড়কের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ এলেই লাইটগুলি জ্বালানোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।