রাজ্যে প্রথম মালদহে উদ্বোধন হল ফুলবাগিচার মধ্যে উন্মুক্ত পাঠাগার ‘বই বাগান’। ফুল আর লতা-পাতায় মোড়ানো এক খন্ড জায়গা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে এটি একটি রেস্টুরেন্ট। আসলে একটি উন্মুক্ত পাঠাগার এটি। সেইসঙ্গে এতটাই সুন্দর করে এটি সাজানো হয়েছে যে, একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে পাঠাগারটি। দর্শনার্থীরা অবসর সময় কাটানোর পাশাপাশি মনোরম এ স্থানে বসে পছন্দের বইটিও পড়ার সুযোগ পাবেন। উপরে ঢাকা চারিদিক খোলা পরিপাটি কক্ষের তাকে রয়েছে সাজানো বই।
মালদহ জেলা গ্রন্থাগারের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মালদহের জেলা গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে প্রবীণ ও শিশুদের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে পঠন পাঠনের জন্য সুসজ্জিত ও অভিনব উন্মুক্ত পাঠাগার যার পোষাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘বইবাগান’। সোমবার দুপুরে ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই বই বাগানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জন শিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দফতরের মন্ত্রী জনাব সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও কার্যকরী সভাপতি মালদহ গ্রন্থাগার কৃত্যক, জামিল ফাতেমা জেবা, জেলা গ্রন্থাগার প্রশাসক শান্তনু কুমার রায়, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক দেবব্রত কুমার দাস সহ আরো বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দরা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন এই যে পরিকাঠামো ফুলবাগিচার মধ্যে বই পড়ার পরিবেশ এটা এখনো পর্যন্ত অন্য কোন জেলা করে উঠতে পারেনি। একমাত্র মালদা জেলায় এটা করেছে। এটা একটা মডেল বলা যায়। ভালো পরিবেশ ও পরিস্থিতি হলে মানুষ এখানে বই পড়তে আসবে সুন্দরভাবে পরিচালিত হোক পাশাপাশি তিনি আরো বলেন নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের জন্য জেলা শাসক ও অতিরিক্ত জেলা শাসক সহ জেলা গ্রন্থাগারের সকল কর্মীবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি গৌড় মহাবিদ্যালয় এর উদ্যোগেও তিনি সাধুবাদ জানান। তিনি জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ চাইছেন বইকে কেন্দ্র করে পাঠক পাঠিকা ও লাইব্রেরীকে নিয়ে সমাজের সার্বিক ও ভালো পরিবেশ তৈরি করতে। তিনি দুষ্প্রাপ্য বই সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি তা তিনিও উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন – ফের বিজেপিতে ভাঙন পূর্ব মেদিনীপুরে
ভারপ্রাপ্ত জেলা গ্রন্থাগারিক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, আমরা ভাবছিলাম লাইব্রেরি সংলগ্ন ফাঁকা জায়গাটা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, পাশাপাশি শিশুরা বদ্ধ ঘরে পড়াশোনা করতে চায় না। এই দুই ভাবনাকে সামনে রেখে আমরা ঠিক করেছি ফুলবাগিচার মধ্যে উন্মুক্ত লাইব্রেরী করার। তাই এই ফাঁকা জায়গাটার মধ্যে ফুলের বাগান করে সেখানে খোলা জায়গায় ‘বই বাগানের চিন্তাভাবনা’। বই পড়ার পাশাপাশি নজর কাড়বে বাহারি ফুলের গাছ এবং দেওয়াল গুলো নানান রঙের ছবিতে সমৃদ্ধ। মালদহে উদ্বোধন