Today Kolkata:- সাগরদিঘী হার নিয়ে দলকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিলেন মদন ,অর্জুন সহ অন্যান্যরা।দলকেও সিটি-এনজিও এর মধ্যে আসতে হবে,সাগরদিঘী হার নিয়ে মন্তব্য মদনের। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “তোমার যদি অসুখ হয়, তোমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দলকেও মাঝেমধ্যে সিটি-এনজিও এর মধ্যে আসতে হবে! না হলে বুঝবে কি করে, ঈশান কোণে কোথায় মেঘ জমে আছে!
আর সেটা বুঝতে পারলাম না বলেই ৫০ হাজারে জেতা আসন ২৩ হাজারে হেরে গেলাম।” সাগরদিঘি উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর একের পর এক তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে উঠে আসছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। কিছু ‘ফড়ে’দের কারণেই নির্বাচনে এই হাল হয়েছে তৃণমূলের বলে মত সাংসদের। দল থেকে সেইসব ফড়েদের সরানোর নিদান দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন,সাগরদিঘিতে গুরুত্বপূর্ণ লোকেদের গুরুত্বহীন করে দেওয়ার কারণেই দলের পরাজয় হয়েছে।
দল থেকে ফড়েবাজ, তোলাবাজদের বাদ দিলে অনায়াসে জয় সম্ভব ছিল দলে ফড়ে, তোলাবাজি শ্রেণির লোকেদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল বলে মত পোষণ করেন তিনি। তবে অর্জুনের দাবি, শিল্পাঞ্চলের পুরনো কর্মীরা ফের একজোট হয়েছেন। নতুন উদ্যমে ফের ময়দানে নেমেছেন দলের পুরোনো কর্মীরা, যাদের দলে গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত,গত বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘিতে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের ২৫ হাজার ভোট এবার উপনির্বাচনে জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের দিকে গেছে। আর সেই কারণেই পরাজিত হলাম আমি’।
দাবি সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী এও বলেন,’ সাগরদিঘিতে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল একাই লড়াই করেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ৪৫ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এবার টেনেটুনে তাদের প্রার্থী কুড়ি হাজার ভোট পেয়েছেন। বাকি ২৫ হাজার ভোট পুরোটাই এবার গিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে।
আরও পড়ুন – Recruitment scam নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সাদা করার কৌশলে ব্যবসায় বিনিয়োগ? সন্দেহ প্রকাশ ইডি কর্তাদের।
সাগরদিঘির ৬৫টি বুথে কংগ্রেসের কোনও এজেন্টই ছিল না। তা সত্ত্বেও এই ফলাফলই প্রমাণ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব বিরোধী শক্তি এক হয়েছিল। সাগরদিঘির ভোটের ফলাফলই ওদের অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে আনল’। তবে এই বিপর্যয়ের সঠিক কারণ কি, তা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষকরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরই দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের খাস তালুকেও কংগ্রেস প্রার্থী বিভিন্ন বুথে বিপুল পরিমাণ ভোটে এগিয়ে। আর এতেই কার্যত ঘুম ছুটেছে শাসক দলের।