সাড়ম্বরে পালিত হল মহা অভিষেক অনুষ্ঠান কৃত্তিম রঙ নয় ফুলের রঙে রাঙিয়ে দেওয়া হল রাধা মাধবকে। মহাপ্রভুর ৫৩৭ তম আবির্ভাব উপলক্ষে অভিষেক ঘটলো মহাপ্রভুর। মায়াপুর ইসকন মন্দিরে মোট চারটি মঞ্চে লক্ষ লক্ষ দেশ এবং বিদেশি ভক্তের সমন্বয়ে প্রভুর মূর্তিতে জল পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে অভিষেক ঘটানো হলো। পাশাপাশি ভক্তদের তরফ থেকে দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় সম্মিলিত হলয় লক্ষ লক্ষ ভক্তরা। গত এক মাস ধরে মহাপ্রভুর জন্মতিতে উপলক্ষে শুরু হয়েছে পরিক্রমা। প্রায় ১০০ টি দেশ থেকে ৫০০০ বিদেশি ভক্তরা এক মাসে আগেই উপস্থিত হয়েছে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। সেখানে সাতটি দল বিভক্ত হয়ে মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন জায়গায় জলপথ এবং স্থলপথে পরিক্রমা শুরু করেছে প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন জায়গায় পরিক্রমা করে সেখানকার মানুষের মহাপ্রভু সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে তারা পুনরায় ইসকন মন্দিরে ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে।
এদিন সকাল থেকেই ইসকন মন্দিরে চলছে নানাবিধ কর্মসূচি। বিদেশি ভক্ত যেমন রয়েছে তেমন লক্ষ লক্ষ ভারতীয় ভক্তরা ইতিমধ্যে ইসকনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেই কারণেই ইসকন কর্তৃপক্ষ এবং মায়াপুর পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এদিন সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠান চলে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে। এরপর চারটি মঞ্চ থেকে মহাপ্রভুর অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এরপর মহাপ্রভুর চরণে দেশের মঙ্গল কামনায় জল প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে মায়াপুর ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রমেশ দাস বলেন, ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর ৫৩৭ তম আবির্ভাব উপলক্ষে চারটি খোলা মঞ্চ করে অভিষেক অনুষ্ঠান কর্মসূচি গ্রহণ করা হলো। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই অভিষেক অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছেন।
৭০০ বছরের পুরনো মমিতে ঘুমিয়ে আছে স্পিরিচুয়াল প্রেমিকা, নাছোড় যুবকের বায়নায় তাজ্জব পুলিশও
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু যেভাবে পছন্দ হলে প্রেম সংকীর্তন নিবেদন করেছিলেন পাশাপাশি বিশ্বের সকল জীব কে যে ভালোবাসা তিনি দিয়েছিলেন সেই কারণেই এই অভিষেক অনুষ্ঠানে সকলে ভক্তরা সমবেত হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এই অভিষেক কর্মসূচিতে পুষ্পাঞ্জলীর মাধ্যমে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে বরণ করা হয় এবং সকল দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় ভক্তরা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর চরণাপন্ন হন। এদিনের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং উজ্জ্বল বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলার জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু।