Today Kolkata:- ৫নং জেলা পরিষদ আসন, প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অমৃত ও প্রশান্ত । পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ডান-বাম উভয় পক্ষ নিজেদের ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে।আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলগুলি।২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে বাজিমাত করবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই সাগরদিঘী উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাত থেকে হারিয়ে বিধানসভায় খাতা খুলেছে বাম কংগ্রেস জোট। আর তাই আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরদিঘী মডেলকেই সামনে রেখে বাজিমাত করতে চাইছে বাম কংগ্রেস জোট।প্রতিবারের মতো এবারও বিজেপি দলীয় প্রার্থী খুঁজতে মাঠে নেমেছে।পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়ন ও সংগঠনের উপর ভর করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চাইছে।
তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দিদির দূত,দিদির সুরক্ষা কবচ সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করে মানুষকে কাছে যাওয়ার ও মন পাওয়ার চেষ্টা করছে।মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের ৫ নং জেলা পরিষদ আসন।এই আসনটিতে ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থী যুথিকা মন্ডল জয়ী হয়েছিলেন।১১০০ ভোটের ব্যবধানে মূল কংগ্রেস প্রার্থী কে হারিয়েছিলেন।২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের বিজেপির জয়ী প্রার্থী যুথিকা মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।
সম্প্রতি দুরারোগ্য ব্যাধিতে তার মৃত্যু হয়।তার ফেলে যাওয়া কাজগুলি করছেন যুথিকা দেবীর স্বামী প্রশান্ত সরকার।মৃদুভাষী ও আপাদমস্তক ভদ্র ছেলে হিসেবেই পরিচিত তার।বুলবুলচন্ডির স্কুল পাড়ার বাসিন্দা প্রশান্ত সরকার দিনরাত এক করে ৫ নং জেলা পরিষদ এলাকায় মানুষকে পরিষেবা দিতে মগ্ন।রাস্তা, পানীয় জল,সৌন্দর্যায়ন,লাইট একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি।তাই মিষ্টভাষী ও উন্নয়নমুখী প্রশান্তর দিকেই ঢলে পড়েছেন এলাকার মানুষজন।
এলাকার বিশিষ্টরা তাই প্রার্থী হিসেবে প্রশান্তকে চাইছেন।শিক্ষিত ও দুর্নীতির সাথে আপোষ না করা প্রশান্তর নাম এখন এলাকাবাসীর মুখে মুখে।তিনি বলেন,প্রার্থী হওয়া না হওয়া সবটাই নির্ভর করছে দলের উপর।যতদিন থাকবো এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।অপরদিকে পেশায় শিক্ষক অমৃত হালদারের নামও ভাসছে ৫নং জেলা পরিষদ আসনে।আইহো ছাতিয়ানগাছি এলাকার দুই বারের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তিনি।
দুইবারই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটের তিনি জয়লাভ করেছিলেন।পেশায় স্কুল শিক্ষক।সর্বদা হাসি মুখ ও মিশুকে স্বভাবের অমৃত কে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে চাইছেন দলের একাংশ।পাশাপাশি এলাকার মানুষজনও তার প্রার্থী পদের জন্য ইতিমধ্যেই নানা স্থানে দরবার শুরু করেছেন।এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের আপদে-বিপদে পাশে থাকায় তার রাজনৈতিক জীবন আরো ঊর্ধ্বগামী হোক সেটাই চাইছেন এলাকার মানুষজন।
অমৃত বাবু জানান,মানুষের সেবা করা ও পাশে থাকায় আমার কাজ।এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন করেছি।দল যদি তাকে প্রার্থী নির্বাচন করে তাহলে আপত্তি নেই।একদিকে উঠে আসছে হবিবপুর ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি সৌগত সরকারের নাম।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।হবিবপুরের ৫ নং জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কে হয় তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে হবিবপুর ব্লকের রাজনৈতিক মহল।