Today Kolkata: ৯ মার্চ পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা যাবে না জানাল হাইকোর্ট। সেজন্য আবারও পিছিয়ে গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা। জানা গিয়েছে,স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল। আদালত জানিয়েছে,আগামী ৯ মার্চের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত,২০১৩ সালের কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ‘শান্তিপূর্ণ’ পঞ্চায়েত ভোট এবং ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি ছাড়া পঞ্চায়েত ভোটে ‘হিংসা’র প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু তাঁর আবেদনে বলেছিলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক। এর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোরও আর্জি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল শুভেন্দুর মামলাটি উঠলে সেখানে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন – স্ট্যান্ড রোডে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার নরকঙ্কাল, ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য
পাশাপাশি তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ না দেওয়া হয়। এ দিকে কমিশনের এই যুক্তির পাল্টা সওয়াল করার জন্য শুভেন্দুর তরফে কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না আদালতে। এজলাসে জানানো হয়, শুভেন্দুর আইনজীবী অসুস্থ। তাই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এর পরই পিছিয়ে যায় শুনানি। আদালতের তরফে পরে শুনানির দিন জানানো হলেও পরে তা পুনরায় পরিবর্তিত হয়। শুনানির পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।
পরে আরও দু’দফায় স্থগিতাদেশের মেয়াদবৃদ্ধি হয়। হাই কোর্টের এই নির্দেশের পর পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।শুভেন্দু অধিকারী পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় ভোট ঘোষণা প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট গত ১৫ ডিসেম্বর একটি নির্দেশ দেয়। সে সময় বলা হয়, আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।