জোরাল ভূমিকম্প (Earthquake) ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা USGS পর্যবেক্ষকরা ভূমিকম্পের পরে বিপজ্জনক সুনামির আশঙ্কা করছেন। ফলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটে আচমকাই কেঁপে ওঠে মাটি।
জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, জারি সুনামি সতর্কতা
Read more-কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন বিজেপির, কি নির্দেশ শীর্ষ আদালতের?
ভূমিকম্পের প্রাবল্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উত্পত্তিস্থল মওমেরে শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে। এই পরিস্থিতিতে প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ওই উত্সস্থলের ১ হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে সুনামির বিপজ্জনক ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে।
কতটা ক্ষতিকর ছিল ভূমিকম্প? সেবিষয়ে অবশ্য ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমই। এই এলাকায় সম্প্রতি যা ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতিতে আসল ভূমিকা ছিল ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ও ভূমিধসের। আর এবার যেহেতু সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাই আশঙ্কা বাড়ছে।
আসলে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চলে, যেখানে এমনিতেই জিওটেকটনিক শক্তির প্রাবল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। ইন্দোনেশিয়ার বিস্তার দুটি মহাদেশীয় পাত (ইউরেশিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ান প্লেট) এবং দুটি মহাসাগরীয়(ফিলিপিন্স সি ও প্যাসিফিক প্লেট) এর মধ্যবর্তী অংশে। কিন্তু ইউরেশিয়ান পাতের নিচে ভারত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সরণ ও নিমজ্জিত হওয়ার ফলে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় মেখলা অঞ্চলে সবথেকে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে এ দেশেই। সরল অর্থে বুঝিয়ে বললে, এ দেশ কার্যতই বসে রয়েছে এক তপ্ত আগ্নেয় উনুনের উপর। যার ফলে কম্পন হোক বা অগ্ন্যুত্পাত, প্লাবন, ভূমিধস হোক বা সুনামি- সামান্যতম শক্তির হেরফের ঘটলেই হতে পারে কোনও না কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বছরের পর বছর যার পুনরাবৃত্তি হয়েই চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে। এই পরিস্থিতিতে সুনামি সতর্কতা ঘিরে ফের ঘনাচ্ছে আতঙ্ক।