শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের নয়া প্রাইভেসি নীতি স্থগিত করার আর্জি জানাল কেন্দ্র সরকার। নতুন নিয়মকে অস্বচ্ছ ও অসুরক্ষিত বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। ব্যবহারকারীর তথ্য তৃতীয় ব্যক্তির হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই সরব হয়েছে মোদী সরকার।
কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ তো ফেসবুকেরই। তাহলে সেই একই ছাতার তলায় বিভিন্ন অ্যাপের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হবে। তাহলে তৃতীয় কোনও সংস্থার প্রশ্ন আসছে কোথায়? কেন্দ্রের যুক্তি, কোনও ব্যবহারকারীরা যখন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন, তিনি কেবল সেই অ্যাপের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। সেটি বাদ দিয়ে অন্য যে কোনও সংস্থাই- যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম তৃতীয় সংস্থা (থার্ড পার্টি) হবে।
কোনও ব্যক্তি যখন হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি আর মানতে চাইবেন না, সেক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে জটিলতা। ব্যবহারকারীরা চাইলেও নির্দিষ্ট সময়ের পর নিজেদের সমস্ত তথ্য হোয়াটস্যাপ থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না বলে দাবি কেন্দ্রের।
গত বছরের শেষেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি আনতে শুরু করে হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু তুমুল সমালোচনার মুখে প্রাইভেসি পলিসি গ্রহণের সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেয় সংস্থা। তবে, এর মধ্যেও ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবার ব্যবহারকারীদের কাছে রিমাইন্ডার পাঠাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সেখানে বার বার ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখনও এই ব্যাপারে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।