Today kolkata:- কাজের সন্ধানে এলাকারই বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ কয়েকদিন পরে কাজও পেয়েছিলেন বিধায়কের অফিস থেকেই৷ কিন্তু সেই কাজে যোগ দিয়ে ভবিষ্যতে তাকে যে এমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি চালক বছর পঁয়ত্রিশের প্রণব ভট্টাচার্য৷ Arpita Car Driver প্রণবের দাবি অনুযায়ী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস থেকেই তাঁকে অর্পিতার চালক (Arpita Car Driver) হিসেবে কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল৷ সাত মাস হল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করেছেন প্রণব। প্রভাবশালী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘ম্যাডামের’ পরিচয়ের কথা জানতেন প্রণব৷ তাঁর কথায়, ‘শেষ দিকে বুঝতে পেরেছিলাম ম্যাডাম আর উনি ভালো ফ্রেন্ড৷ একদিন রাতে ম্যাডাম ফেরার সময় আমাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললেন৷
ওখানে নেমে আমাকে গাড়ি নিয়ে ফিরে আসতে বলেন৷ আমি চলে আসি৷’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়র বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ‘টাকার পাহাড়’ দেখে রীতিমতো অবাক তাঁর গাড়ির চালক। তিনি বলেন, “এত টাকা তো স্বপ্নও দেখতে পারব না। আমি কোনওদিন ফ্ল্যাটে ঢুকিনি। যে ছেলেটা রান্না করত তাঁর থেকে চাবি নিয়ে চলে আসতাম।” তিনি এও জানান, ইডি তল্লাশির দিনই সংবাদমাধ্যমে জানতে পারেন যে টালিগঞ্জের ওই ফ্ল্যাটেই বাইশ কোটি টাকা রয়েছে! তল্লাশির সময়ই প্রণবের ফোনটিও নিয়ে নেন ইডি আধিকারিকরা৷ এদিকে অর্পিতার কাছে অডি, মার্সিডিজ-সহ চারটি বিলাসবহুল গাড়ি ছিল বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। কিন্তু বিলাসবহুল গাড়িগুলির খোঁজ মিলছে না৷ প্রণবের দাবি, যে গাড়িগুলির কথা বলা হচ্ছে সেগুলি গ্যারেজে রাখাই থাকত৷ কিন্তু গত তিন মাস ধরে সেগুলি দেখতে পাননি তিনি৷
Arpita Car Driver ‘জানতাম ম্যাডাম আর উনি ভালো বন্ধু’, মুখ খুললেন অর্পিতার গাড়ির চালক৷
MORE NEWS – অর্পিতার নামে থাকা কোম্পানির ৮ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি।
এ যেন কুবেরের ধন লুকানো। খুড়তেই সব বেড়িয়ে আসছে। এবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) নামে থাকা কোম্পানির আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। ইতিমধ্যে এই ব্যাঙ্ক একাউন্ট ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। অবশ্য একের পর এক পাহাড় প্রমাণ যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দানা বাঁধাটাই স্বাভাবিক।
কী আছে এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে? মনে করা হচ্ছে, CONTINUE READING