Today Kolkata:- টিভির পর্দায় আমরা দেখেছি চিংচিং ফাঁক বলতেই আলিবাবা চল্লিশ চোরের গুহায় রয়েছে সোনা, দানা মনি মানিক্য-সহ আরও কত কিছু। আর বাস্তবে ইভি সন্ধান পাচ্ছে সব টাকার পাহাড়। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে শুধুই টাকা, সোনা, বিদেশি মুদ্রাও। যাকে বলে কুবেরের খাজানা। টালিগঞ্জ আর বেলঘরিয়া দুটো ফ্ল্যাট মিলে ৫০ কোটি টাকা! বাংলাজুড়ে এখন একটাই বিষয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। গত শুক্রবারই তাল্লাশি অভিযান চালিয়ে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ কোটি টাকা ও বেশ কিছু নথি। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা এবং কিলো কিলো সোনা। দুই ফ্ল্যাট থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে, ইডি-র আধিকারিকরা এখনও পর্যন্ত তা অফিশিয়ালি ঘোষণা করেননি।
অবশ্য এই সব টাকাই নাকি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। ইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইডি-র জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা জেরায় অর্পিতা স্বীকার করেছেন যে, তাঁর বাড়িতে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা সবই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকা। সেই টাকা নাকি অর্পিতার ফ্ল্যাটে রেখে যেতেন পার্থর ‘লোকজন’। অর্পিতা জেরায় এও বলেছেন, মাঝেমধ্যেই তাঁর বাড়িতে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। টাকা রাখছে জানতাম, কত টাকা রাখা হচ্ছে জানতাম না। সেই ঘরে আমার প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না। মাঝে মাঝে ফ্ল্যাটে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যখন তিনি ঘরে ঢুকতেন, তখন আমি যেতাম না। কারণ, যে ঘরে টাকা রাখা থাকত, সেখানে আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে তদন্তে সহযোগিতা করেননি অর্পিতা। তবে এখন তিনি অনেক তথ্যই দিচ্ছেন ইডিকে।
Arpita Mukherjee সব টাকা পার্থদা’র, কর্মীরা এসে দিয়ে যেত! জেরায় বিস্ফোরক দাবি অর্পিতার।
Mamata Banerjee দ্রুত সত্য সামনে আসুক’’, পার্থ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন মমতা।
এরপর ইডি আধিকারিকরা অর্পিতার কাছে জানতে চেয়েছেন আর কোথায় ফ্ল্যাট বা বাড়ি রয়েছে তাঁদের? এত টাকা ফ্ল্যাটে কোথা থেকে এল? এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি তাঁর? অর্পিতা জানিয়েছেন যে, তিনি এই টাকার উৎসের খোঁজ জানেন না। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও কিছু জানাননি। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা থেকে ফের অর্পিতাকে জেরা শুরু করেছে ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ।