Today kolkata:- শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির পর এবার প্রকাশ্যে এল সমবায় ব্যাংকের (Ghatal Samabai Bank Scam) ‘নিয়োগ দুর্নীতি’। তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাংকে ‘নিয়োগ দুর্নীতি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল আগেই। সেই দুর্নীতি কাণ্ডে এবার নাম জড়াল রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের। অভিযোগ, অরূপ রায়ের আপ্ত-সহায়ক সত্য সামন্তের বোন মুনমুন সামন্ত পাত্রকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে তমলুক ঘাটাল সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাংকে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিলেন মামলাকারীরা। যদিও মন্ত্রী অরূপ রায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মামলাকারীদের অভিযোগ, মোট ৫২ শূন্যপদ ছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কাজেই বাড়তি নিয়োগ অবৈধ বলে দাবি মামলাকারীদের। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নিয়োগ করতে গেলে কো অপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু দু দফায় এই নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্ভিস কমিশনকে বাইরে রেখে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে দাবি তাঁদের।
সেক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছিলেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। এর পাশাপাশি চাকরি পেয়েছেন সমবায় ব্যাঙ্কের কর্তা ও আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠরাও। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে তমলুক-ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দু দফায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় অনুমতি দেন বলে দাবি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে অরূপ রায় বলেন, ‘আমি কোনওক্ষেত্রে কোনও রেকমেন্ড করিনি আজ পর্যন্ত। সুতরাং সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন এই অভিযোগ। এটার কোনও গুরুত্ব দিতে চাই না আমি। দুর্নীতি হয়ে থাকলে তদন্ত হবে। কেউ দোষী প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি এও বলেন, ‘আইনগত ভাবে বিষয়টি আমার এক্তিয়ারেও নেই। চুক্তি মেনেই চাকরি হয়েছে। আমি চাকরি দেওয়া বা না-দেওয়ায় হস্তক্ষেপ করিনি।’
Ghatal Samabai Bank Scam ঘাটাল সমবায় ব্যাঙ্কে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে।
MORE NEWS – জোর অনুদান নিয়ে তৃতীয় জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বছরও রাজ্যের ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা প্রদান ও বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আর এই নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court)। এই নিয়ে তৃতীয়বার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। CONTINUE READING