Today Kolkata:- লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। তারপরেই লোকসভা নির্বাচন। ভোট বড় বালাই! বঙ্গ বিজেপির লক্ষ্য তৃণমূলের (Trinamool Congress) সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানো। আর তাই সংখ্যালঘুদের মন পেতে এখন মরিয়া বঙ্গ বিজেপি West Bengal BJP)। পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মুসলিমরা ‘শত্রু’ নয়, বিজেপির ‘বন্ধু’’ এটা প্রমাণ করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) মন্তব্যে যা প্রমাণিত ইতিমধ্যেই। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
একবালপুর থানা এলাকার এক মহিলাকে কাজের টোপ দিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে কার্যত তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ পেয়ে ওই মহিলাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ভারত সরকারের (Government Of India) বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে দীর্ঘ যোগাযোগ করে অবশেষে ওই মহিলাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় বলে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন পদ্ম নেতারা। সেই সংখ্যালঘু মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সরকার এবং বিজেপির প্রচেষ্টার ফলেই ওই মহিলাকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Shamik Bhattacharya)।
সবার মুখেই নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ – এই কথা বারে বারে উচ্চারিত হয়। নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে বাংলার সংখ্যালঘু এলাকায় বিশেষ প্রচার অভিযান কর্মসূচি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। এ রাজ্যে ক্ষমতার স্বাদ পেতে গেলে প্রয়োজন সংখ্যালঘুদের সমর্থন। এই বুঝেই কি সংখ্যালঘু ‘প্রেম’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্য বিজেপি ? প্রশ্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
Panchayet Selection বঙ্গে পঞ্চায়েত – লোকসভায় সাফল্য পেতেই কি বঙ্গ বিজেপির ‘সংখ্যালঘু’প্রেম ? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
Abhishek Banerjee ”বামেদের ২৫ এর তুলনায় বিজেপির ৫ বছর বেশি ক্ষতিকারক ” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘরোয়া কোন্দল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি সাম্প্রতিক আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের (Suman Kanjilal) দলত্যাগে যখন তীব্র অস্বস্তিতে বঙ্গ পদ্ম শিবির, ঠিক তখনই বিজেপির সংখ্যালঘুদের মন জয় করার নানান কৌশলে কতটা রাজনৈতিকভাবে লাভ হয় তাদের, তার উত্তর দেবে সময়।