Today Kolkata:- Sagar dighi তৃণমূলের (Trinamool Congress) ম্যাপ থেকে উধাও সাগরদিঘী । রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার (Subrata Saha) প্রয়াণে প্রয়োজন ছিল সাগরদিঘী বিধানসভা উপ নির্বাচনের। গত দুটো বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘী বিধানসভায় নিজেদের গড় অক্ষুণ্য রাখলেও এবার আর তা হল না। সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ জোড়াফুল শিবির।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাগরদিঘী বিধানসভায় জয়ী হয়েছে কংগ্রেস (Congress)। কংগ্রেস প্রার্থী দিলেও সিপিএম এবং আইএসএফের সমর্থন পেয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস (Bairan Biswas)। এবার সাগরদীঘিতে পরাজয় হলেও পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhuri) ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপি-র থেকে ভোট পাওয়া নিয়ে কটাক্ষের সুরে অধীরকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেত্রী৷
এদিন সাগরদিঘির ফল ঘোষণার পরই অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারী রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না৷ আমরা সবাইকে নিয়েই চলি৷ বামেরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন, সহযোগিতা করেছেন৷ শুধু বামেরা কেন, আমার তো মনে হয় বিজেপি-র ভোটও আমরা পেয়েছি৷ তৃণমূলের যাঁরা সৎ , তাঁদের অনেকেও হয়তো আমাদের ভোট দিয়েছেন৷’ অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
Sagardighi তৃণমূলের হাত ছাড়লেও কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরল সাগরদিঘী, কোন সূত্রে অধীরকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা ?
Tripura Manik Sarkar নিজে নির্বাচনে লড়েননি, এবার নিজের কেন্দ্র হাতছাড়া মানিক সরকারের।
সাগরদিঘিতে হারের জন্য বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র বিরুদ্ধে অনৈতিক জোটের অভিযোগ করেন মমতা (Mamata Banerjee)৷ তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষ দিচ্ছি না৷ কিন্তু ওখানে অনৈতিক জোট হয়েছে৷ আমরা এর নিন্দা করছি৷ বিজেপি-র ফল দেখলেই বুঝতে পারবেন যে ওদের ভোট কংগ্রেসে গিয়েছে। অধীরদা কে (Adhir Ranjan Chowdhuri) আমি ধন্যবাদ জানাবো৷ অন্তত তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে বিজেপি-র ভোট পেয়ে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে৷’
২০১১ সাল থেকে সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে ছিল৷ মন্ত্রী সুব্রত সাহার (Subrata Saha) মৃত্যুতে ওই আসনে উপনির্বাচন হয়৷ ফল গণনা শুরু হতেই দেখা যায় , বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর থেকেই ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী৷ শেষ পর্যন্ত ২২,৯৮০ ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী৷ বলে রাখা ভালো , ২০১৬ সালের পর রাজ্যের বিধানসভা উপনির্বাচনে এই প্রথম পরাজয়ের মুখ দেখল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ।