Today kolkata:- টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে ১০ কোটি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তা সত্ত্বেও শেষমেশ কাজের বরাত পাননি। অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কার্যত বোমা ফাটিয়ে এমনই দাবি করেছেন সিউড়ির এক ব্যবসায়ী প্রবীর মণ্ডল (Tender On Anubrata)। এ যেন পার্থ অর্পিতা কাণ্ড থেকে কিছু কম নয়! গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের বাসিন্দা অরূপ রতন ভট্টাচার্য এবং রামপুরহাটের প্রবীর মণ্ডল যৌথ উদ্যোগে লোকনাথ অটোমোবাইলস নামে ব্যবসা শুরু করেন। তিলপাড়া জলাধার থেকে বালি তোলার বরাত পেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে দিতে হবে দশ কোটি টাকা! বীরভূমের দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নাকি এমনই দাবি করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ দশ কোটি টাকা দিতে না পারায় শেষমেশ রফা হয় ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকায়৷ বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে বসে নগদ দেড় কোটি টাকা অনুব্রত নিজে হাতে নিয়েছিলেন।
বাকি টাকা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের হাতে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ, অরূপ রতন ভট্টাচার্য নগদ টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের। শুধু টাকাতেই অবশ্য তুষ্ট হননি অনুব্রত৷ নিজের চড়ার জন্য চেয়ে নিয়েছিলেন একটি গাড়িও। শুক্রবার অনুব্রতর রাইস মিলে তল্লাশি চলাকালীন যে গাড়ির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই৷ Ford Endeavour গাড়িটির নম্বর WB54U6666। ওই গাড়িটি ব্যবসায়ী প্রবীর মণ্ডলের। ২০১৮ সালের বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অনুব্রত মণ্ডলকে ৪৬ লক্ষ টাকা দামের ওই গাড়িটি তিনি দিয়েছিলেন বলেই দাবি ব্যবসায়ীর। আবার ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময় আড়াই কোটি টাকা নিয়েছে৷ এমনটাই দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী। এক রাশ ক্ষোভ উগরে ওই দুই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা পুরো শেষ হয়ে গিয়েছি৷ আর ব্যবসা করার মতো পুঁজিও নেই৷ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ওই গাড়ি অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছিলাম৷ পরে ফেরত চাইতে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত৷
Tender On Anubrata নগদ ৫ কোটি ৬৩ লাখ, ৪৬ লাখের গাড়ি! অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বীরভূমের দুই ব্যবসায়ী।
SSC Scam vs ED এসএসসি দুর্নীতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা, অনুমান ইডির।
বলেছিলেন, গাড়ি চড়বি না জেলে যাবি?’ প্রবীর বাবুর কথায়, ‘এর পরে আর গাড়ি ফেরত চাওয়ার সাহস দেখাইনি৷’ যে ফোর্ড এন্ডেভার গাড়ি নিয়ে বিতর্ক, সেটিতে চড়ে কলকাতাতে আসতেও দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে৷ গাড়ির গায়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকারও লাগানো৷ এদিকে, অনুব্রতর রাইস মিল থেকে সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের একটি এসইউভি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। একসময় যে গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মলয় পীঠের অবশ্য দাবি, “এটি ট্রাস্টের গাড়ি। কলকাতা যাওয়ার সময় অনুব্রত মণ্ডল এই গাড়িটি ব্যবহার করতেন। এই গাড়িটি অনুব্রত মণ্ডল কিনে নিতে চেয়েছিলেন। তারপর থেকে গাড়িটি ওই রাইস মিলেই রয়েছে।”