সোমবারই সংসদে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব আনছে কেন্দ্র। এই নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সাংসদদের ওই দিন পার্লামেন্টে হাজারি থাকার হুইপ জারি করেছে। সোমবারই আবার কৃষক সংগঠনগুলির ‘সংসদ চলো’ কর্মসূচি ছিল।
কিন্তু আজ কৃষকরা তাদের প্রস্তাবিত ‘সংসদ চলো’ কর্মসূচি পিছিয়ে দিলেন। শনিবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৯ নভেম্বর তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর চলতি সপ্তাহে তাতে সম্মতি জানায় কেন্দ্র। এরপর ঠিক হয় শীতকালীন বৈঠকের শুরুতেই সোমবার কৃষি আইন বাতিলের বিল লোকসভায় পেস করা হবে।
এদিকে, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে শনিবার বৈঠকে বসেন কৃষক নেতারা। সেই বৈঠকেই সংসদ অভিযান পিছিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আরও বেশি কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করার বিষয়টিও রয়েছে। কৃষকদের আজকের বৈঠকের ঠিক আগেই কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর (Narendra Singh Tomar) আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য কৃষকদের কাছে আবেদন জানান। সে সঙ্গে তোমর বলেন, ‘কৃষকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিকে আরও স্বচ্ছ করার বিষয়টিও রয়েছে।’
কৃষি আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পরও কৃষকরা দাবি করে আসছিলেন, তিন কৃষি আইনকে পাকাপাকি ভাবে বাতিল করতে হবে। সেই সঙ্গে শষ্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের বিষয়েও নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে। কৃষকদের দাবি মেনে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আইন বাতিলের প্রস্তাব রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণার অনেক আগেই বিতর্কিত তিনটি তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সংসদ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন কৃষকেরা। কর্মসূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, ১০০০ জন কৃষক ৬০টি ট্রাক্টর চড়ে সংসদ অভিযানে যাবেন। আজকের ঘোষণার পর ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা নিজেদের কঠোর অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও সরে এসেছেন কৃষকরা।