মেদিনীপুর:- পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের এক মেধাবী ছাত্র সুশান্ত পড়িয়া। প্রতিবন্ধী বাবার একমাত্র ছেলে, সামান্য একটু জমি চাষ করে সংসার চলে। মেধাবী ছাত্র নিজগুণে ভালো নম্বর পেয়ে কেশপুর কলেজে তৃতীয় বর্ষে অংক নিয়ে পড়াশোনা করছে। কিন্তু আগে এগোনোর সামর্থ্য নেই। সহযোগিতার আবেদন করেছিলেন, তাই তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুর শহরে ওই ছাত্র কে ডেকে তার হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। ইতি পূর্বেও তার পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন রকমের বই ও নানা সামগ্রী ওই ছাত্রের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ভারতী ঘোষ। প্রথম বর্ষ থেকেই সেই পড়াশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্য যা সে কিনতে পারছিল না। বিভিন্ন সময়ে সে সমস্ত সামগ্রী দিয়ে উৎসাহিত করেছিলেন তিনি। রবিবার আরও একটি নতুন ল্যাপটপ তার হাতে তুলে দিয়ে পড়াশোনার জন্য উৎসাহিত করেন। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গরিব পরিবারের
ভারতী ঘোষ বলেন-” ছেলেটি খুবই মেধাবী, কিন্তু প্রতিবন্ধী কৃষক বাবার সামর্থ্য নেই তার এই উচ্চ শ্রেণীর পড়াশোনার জন্য সমস্ত সহযোগিতা করার। সহযোগিতার আবেদন করেছিলেন। ইতিপূর্বেও তাকে বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। অংক নিয়ে পড়াশোনা করতে যে পরিকাঠামো যুক্ত ল্যাপটপের প্রয়োজন সেই ল্যাপটপ পুনরায় তাকে দেওয়া হল। ভবিষ্যতেও সহযোগিতা করা হবে তাকে। এই ধরনের মেধাবীরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক, আরো পাঁচজনকে প্রতিষ্ঠিত হতে সহযোগিতা করুক আমি সেটা চাই। ল্যাপটপ পেয়ে খুশি ওই ছাত্র। গরিব পরিবারের
গরিব পরিবারের মেধাবী ছাত্র পড়ছে অংকে অনার্স নিয়ে, ল্যাপটপ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করলেন ভারতী ঘোষ।
ভোর রাতে হঠাৎ করেই আগুন লেগে ভস্মীভূত হল বেহালা চৌরাস্তা অঞ্চলের একটি বাজারের বেশ কিছু দোকান।
সে জানায়-” সামান্য একটু জমি চাষ করে সংসার চলে। কিন্তু উচ্চ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার মত সামর্থ্য নেই আমাদের। ম্যাডাম ইতিপূর্বেও তাই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। কিন্তু ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে আটকে গিয়েছিলাম। পুনরায় জানিয়েছিলাম উনি আমাকে এই ল্যাপটপ দিয়ে উপকার করলেন আবার। আমার পড়াশোনার ক্ষেত্র অনেক বেশি সহজ হয়ে গিয়েছে ম্যাডামের আশীর্বাদে।”