Today Kolkata:- উত্তরপ্রদেশের (UP) হাথরসে (Hathras) নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দিয়েছিল পুলিশ আর পশ্চিমবাংলার নদিয়া (Nadia)জেলার হাঁসখালিতে (Hanskhali)নির্যাতিতা নাবালিকার মৃতদেহ তার পরিবারকে পুড়িয়ে ফেলতে বাধ্য করেছিল তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা। হাথরসে নির্যাতিতার দেহ পোড়ানো হয়েছিল রাতের অন্ধকারে। সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি অন্য কাউকে। হাঁসখালির ধর্ষিতা কন্যার মৃত্যু হলে রাতারাতি দেহ জ্বালিয়ে দিতে পরিবারকে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। জানা গেছে ওই নাবালিকা নবমশ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুও হয়েছে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাবে। যন্ত্রনা কাতর রক্তাক্ত মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি পাছে সে চিকিৎসকদের কাছে বয়ান দিয়ে ফেলে। হাথরসের কন্যার অবশ্য জিভটাই কেটে নিয়েছিল ধর্ষকরা। হাঁসখালিতে গত সোমবার ঘটনাটি ঘটলেও ঘটনার কথা জানতে পারেনি কেউ কারন নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি।
একই অভিযোগ ছিল হাথরসেও, ঘটনার বহুদিনবাদে জনমতের চাপে অভিযোগ নিয়েছিল যোগী পুলিশ। হাথরসের অভিযুক্তরা শাসকদল বিজেপি ঘনিষ্ট, পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালিতে অভিযুক্ত শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেসের নেতার পুত্র এমন কি প্রমান লোপাটে অভিযুক্ত নেতাও। রবিবার, ঘটনার সাতদিন পরে সামনে এসেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে ঘটে যাওয়া সেই পৈশাচিক বর্বরতার কাহিনী। অভিযোগ নেতার ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণ করা হয়েছে এক নাবালিকাকে। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। মৃত্যুর পরপরই দেহ সৎকার করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত সোমবার ৪ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে। তারপর এতদিন সব ধামাচাপা পড়ে ছিল। প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের নাম ব্রজগোপাল গোয়ালা। তার বাবা সমর গোয়ালা হাঁসখালি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য।
সূত্র মারফৎ জানা গেছে সোমবার ব্রজগোপালের জন্মদিন ছিল, তার পার্টিতে আমন্ত্রিত হয়েছিল ওই নাবালিকাও। বগুলা থেকে সে ব্রজগোপালের বাড়ি গিয়েছিল। সেখানেই পানীয়ের সাথে মাদক মিশিয়ে অর্ধ অচেতন করে বছর পনেরোর মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ সেই রাতে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যেতে নিষেধও করা হয় বলে অভিযোগ। পরামর্শ দেওয়া ব্রজগোপালের বাড়ির লোকজন স্থানীয় ‘হাতুড়ে ডাক্তার’-এর কাছে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার সাতদিন পরে সামনে এসেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে ঘটে যাওয়া সেই পৈশাচিক বর্বরতার কাহিনী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ নং ব্লকের কুদিতে বড়ো পান মার্কেট।
পরের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। নাবালিকার মৃত্যুর পর জোর করে দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। ফলে ময়নাতদন্ত হয়নি দেহের। ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য রাজ্য জুড়ে। নদিয়ার হাঁসখালির বগুলার সোমবার সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরীর। নেহাৎই দিনজুর পরিবারের ওই কিশোরী স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল বলেই জানা গেছে। গত সোমবার নদিয়ার হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা এবং গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সমর গোয়ালার ছেলে ব্রজগোপাল গোয়ালার বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি ছিল যোগ দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং সেই কারণেই অত্যধিক রক্তপাতের জেরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। মৃত্যুর আগে মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে যায়। বলে ‘পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা করছে। আর সহ্য করতে পারছি না।’ এরপরই এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যায় কিশোরীর বাবা।
তাঁকে সবকিছু বলে ওষুধ নিয়ে ফিরে এসে বাবা দেখেন মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিশোরীর পরিবারের আরও অভিযোগ মেয়ের মৃত্যুর পরই পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালার লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি দেয় পুলিশের কাছে না জানানো এবং মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার জন্য। কিশোরীর বাবা আরও অভিযোগ করেছেন, প্রথমে থানায় গেলেও অভিযোগ নেয়নি স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। পরে চাইল্ড লাইনের সহযোগিতা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এরপরই রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ব্রজগোপালকে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তৎপর হওয়ার পরই গা ঢাকা দিয়েছেন তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমর গোয়ালা।